সোমবারই জুনিয়র চিকিৎসকেরা লালবাজার অভিযান করেন। চিকিৎসকর জানান, দাবি এক দফা এক, বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। তবে লালবাজার পৌঁছানোর আগেই পুলিশ রুখে দেন তাঁদের। লালবাজারের আগেই শিকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। তবে ডাক্তাদের দমিয়ে রাখতে পারেননি। কোনও অস্ত্র নয়, হাতে গোলাপ ও মালা নিয়ে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা।
স্টেথো সরিয়ে সারা রাত গানে গানে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উঠেছে স্লোগানও। অন্যদিকে রাতভর চেয়ার পেতে ঠায় বসে উর্দিধারী পুলিশও। এরইমধ্যে ঘটে এক ঘটনা। ব্যারিকেডের এপারে ডাক্তার ওপারে উর্দিধারী পুলিশ। রাত তখন প্রায় ৩টে ৪৫ মিনিট। হঠাৎই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। জাতীয় সঙ্গীত শুনেই ধড়মড় করে উঠে দাঁড়ান পুলিশ কর্মীরা। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হতেই আন্দোলনকারীদের বলতে শোনা যায়, ‘এতদিনে পুলিশ সোজা হয়ে দাঁড়াল।’ এরপরে আন্দোলনকারীরা পুলিশকর্মীদের দিকে জলের বোতল, বিস্কুট বাড়িয়ে দেন।
রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার সকাল। এখনও পথে বসে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত পূরণ না হচ্ছে তাঁরা এইভাবেই আন্দোলন করে যাবেন।