মনে করা হয় যে, সন্ধ্যায় যে মানুষ মন্দিরে গিয়েছেন কোনও বাধা স্বীকার না করে, সেই মানুষের কোন না কোন রকম ভাবে ক্ষতি হয়েছে। সেই মানুষটি কোন না কোনভাবে অন্ধ অথবা বধির হয়েছেন অথবা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটার কী কী উপকারিতা রয়েছে:
১) গর্ভাবস্থায় সাঁতার গোড়ালি এবং পায়ের ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করে, পাশাপাশি এটি ব্লাড সার্কুলেশনও বাড়ায়।
২) গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটা অত্যন্ত নিরাপদ ও ভালো ব্যায়াম। এতে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট, ইত্যাদির ব্যথা কমে।
৩)সাঁতার মাংসপেশী ঠিক রাখে এবং স্ট্রেচিবিলিটি বৃদ্ধি হয়, ফলে প্রসবের সময় খুব একটা সমস্যা হয় না।
৪) সাঁতার কাটা মর্নিং সিকনেস কমায়। গর্ভাবস্থায় অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি বমি ভাব অনুভব করেন, যেটা কমাতে সাঁতার সহায়তা করতে পারে।
৫) এছাড়াও হাড় এবং জয়েন্টগুলিতেও আরাম হয়।
গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটার সময় কিছু বিশেষ পরামর্শ:
১. শরীরের সঙ্গে ভালমতো ফিট হয় এমন স্যুইম স্যুট নিন। এইসময় যতদিন এগোবে ততই শারীরিক আকারের পরিবর্তন হবে, তাই এটি সবসময় মনে রাখবেন।
২. জলে বা পুলের আশপাশ পিচ্ছিল হতে পারে, তাই খুব সাবধানে চলাফেরা করুন। কোনওভাবে যাতে পড়ে না যান, সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।
৩. হাইড্রেট থাকুন, কারণ তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও আপনি সাঁতারের সময় ডিহাইড্রেট হতে পারেন।
৪. সাঁতার কাটার সময়, সর্বদা কাউকে আপনার চারপাশে রাখুন। একা সাঁতার কাটতে যাবেন না।
৫. এছাড়াও, সাঁতার বা শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে আপনার চিকিত্সাকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।