ছোটবেলায় “ভূত আমার পুত, পেত্নী আমার ঝি, রাম লক্ষ্মণ বুকে আছে, ভয়টা আবার কি?”-এ কথা তো কম বেশি আমরা সবাই বলেছি। বলা হয় অপঘাতে মৃত্যু হলে সেই ব্যক্তি ভূত হয়। অনেক সময় অপঘাতে মারা না গিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুতেও ভূত হতে পারে মানুষ। বাংলা সাহিত্যে নানাপ্রকার ভূতের কথা বলা আছে। বলা হয় মানুষ ইহজগতে যেমন আচরণ করে, পরলোকে গিয়েও সে তেমনই হয়তো হয়। তবে মৃত্যুর পর আপনি কোন ভূতটি হতে পারেন দেখুন তো। তবে এই দেখা কিন্তু সম্পূর্ণ হাস্যরসে পরিপূর্ণভাবেই, এর মধ্যে কোনওপ্রকার প্ররোচনা নেই।

১. শাঁখচুন্নি— আপনি সধবা, শাঁখা পড়েন। বড্ড ঘ্যান ঘ্যান করেন। পরিবার একেবারে অতিষ্ট। এখন থেকে সাবধান হন। নাহলে মৃত্যুর পর আপনি হতে পারেন শাঁখচুন্নি।

২. মেছোভূত— খুব মাছ কেতে ভালবাসেন, তাহলে আপনি হতে পারেন মেছোভূত। আর মেছোভূত না হতে চাইলে মাছ ছাড়াও ভাত খাওয়া অভ্যাস করুন।

৩. স্কন্ধকাটা— মাথায় প্রচুর বুদ্ধি ধরেন বুঝি? এ নিয়ে গর্বের শেষ নেই। সাবধান! অতি গর্বে কিন্তু লঙ্কা হত হয়েছিল। হয়তো মৃত্যুর পর আর আপনার মস্তকটাই থাকল না। হয়ে গেলেন স্কন্ধকাটা।

৪. কানাভুলো— রাস্তা হারিয়ে ফেলেন মাঝেমধ্যেই! কোথায় কী রাখছেন মনেই রাখতে পারছেন না। দেখবেন মৃত্যুর পর কানাভুলো না হয়ে বসেন।

৫. বোবাভূত— সারাদিন কারও সাথেই কথা বলতে ভাল লাগে না। চুপ চাপ থাকেন। দিনে দিনে মানুষের কাছে অপ্রিয় হয়ে যাচ্ছেন এই চুপ থাকার জন্য! আপনার পরিণতি হতে পারে বোবাভূতের মতো।

৬. যখ— টাকাপয়সা খরচা করতে প্রাণে আটকায়? বেশি খরচ করলেই মনে হয় এই গেল গেল। আড়ালে আবডালে মানুষের কাছ থেকে কৃপণ উপাধিটিও লাভ করেছেন। মৃত্যুর পর আপনি হতে পারেন যখ। তখন সামলাতে হবে আপনার যখের ধন।

৭. ব্রহ্মদৈত্য— যারা ব্রাহ্মণ তারা মারা গেলেই ব্রহ্মদৈত্য হয় না শুধু। অতিরিক্ত শুচিবায়ুগ্রস্ত হলেও মৃত্যুর পর হতে পারেন ব্রহ্মদৈত্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here