খেলার মাঠে সকলেই সমান, জাত-পাত দূরে রেখে ময়দানে নামেন ক্রীড়াবিদরা। যদিও এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন উজবেকিস্তানের দাবাড়ু। ম্যাচের আগে এক ভারতীয় মহিলা দাবাড়ুর সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি জানান তিনি। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে ক্রীড়ামহলে।

গত ১৭ জানুয়ারি থেকে নেদারল্যান্ডসের উইক আন জি-তে শুরু হয়েছে টাটা স্টিল দাবা টুর্নামেন্ট। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। তবে তারই মধ্যে বড়সড় ঘটনা সামনে এল। উজবেক দাবাড়ু নোদিরবেক ইয়াকুববোয়েভ-এর যুক্তি ‘ধর্মীয় কারণ’-এ মহিলাদের স্পর্শ করেন না তিনি। তাই ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার বৈশালী রমেশবাবুর সঙ্গে করমর্দন করতে চাননি নোদিরবেক ইয়াকুববোয়েভ। ঘটনাটি হল- চতুর্থ রাউন্ডে ২৩ বছর বয়সি ইয়াকুববোয়েভের ম্যাচ ছিল বৈশালীর সঙ্গে। ঘটনার সূত্রপাত হয় ম্যাচের শুরুতেই। স্বাভাবিক নিয়মেই হাত বাড়িয়ে দেন বৈশালী। কিন্তু ইয়াকুববোয়েভ হাত না মিলিয়ে বসে পড়েন। এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বৈশালী যে এই ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন, তা ভিডিও দেখে বোঝা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েন ইয়াকুববোয়েভ। এর প্রত্যুত্তরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমি মহিলাদের সম্মান করি। কিন্তু সবাইকে জানাতে চাই ধর্মীয় কারণে অন্য কোনও মহিলাকে স্পর্শ করি না। বৈশালী ও তাঁর ভাই প্রজ্ঞানন্দকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। যদি আমি কাউকে অসম্মান করে থাকি, তাহলে ক্ষমা চাইছি।” তিনি আরও লেখেন, “দাবা খেলা হারাম নয়। আমি অন্য কাউকেও হাত মেলাতে জোর করি না। মহিলাদের হিজাব বা বোরখা পরার জন্যও জোর করি না। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বৈশালীর সঙ্গে ম্যাচের আগে আমার হাত জোড় করে নমস্কার করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। তাই অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” উল্লেখ্য, ধর্মের যুক্তি দিয়ে বৈশালীকে অপ্রস্তত অবস্থায় ফেললেও আদপে ম্যাচটি জিততে পারেননি উজবেক তারকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here