
এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে জল্পনা। ২০১৬ সাল থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিলের নির্দেশ দেয়।
রাজ্য সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এবং চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ আনার জন্য।
সুপ্রিম কোর্টে কী হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে। আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছিল যে,
১) পূর্ণ প্যানেল বাতিল হবে, নাকি যোগ্য-অযোগ্য বাছাই হবে?
প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যদি যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব না হয়, তবে পুরো প্যানেল বাতিল করা হবে।
২) যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা:
SSC যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছে কিনা, তা আজকের শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্থগিতাদেশের ভবিষ্যৎ:
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আগে এই চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আজকের শুনানিতে এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে, নাকি নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নিয়েই উত্তেজনা।
SSC মামলার প্রধান যুক্তি ও গুরুত্ব
১. হাইকোর্টের রায়:
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২. রাজ্যের আপিল:
রাজ্য সরকার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে।
৩. যোগ্য প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ:
যদি প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল হয়, তবে যোগ্য প্রার্থীরাও চাকরি হারাবেন, যা তাঁদের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে।
শিক্ষা ও চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই রায়ের উপর।
আজকের রায়ের ভিত্তিতে SSC চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরা পুনরায় তাঁদের চাকরি ফিরে পেতে পারেন, অথবা পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যেতে পারে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। SSC মামলার আজকের চূড়ান্ত ফয়সলা গোটা রাজ্যের নজর কাড়বে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যোগ্যতার ভিত্তিতে বিচার প্রতিষ্ঠা করবে, নাকি পুরো প্যানেল বাতিলের পথে যাবে, তা আজই স্পষ্ট হতে পারে।