গত ২৫ বছরে জন্মহার একেবারে কম। বাধ্য হয়ে নয়া পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া সরকার। জনসংখ্যায় ভারসাম্য বজায় রাখতে ‘Ministry of Sex’ চালুর পরিকল্পনা করছে তারা। এই মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
- রাত ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে ওই সময়ে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হতে পারেন যুগলরা।
- বাচ্চা মানুষ করতে গিয়ে চাকরি করা হয় না মহিলাদের। তাই তাঁদের বাড়ির কাজ এবং সন্তান পালনের জন্য টাকা দেওয়ার পাশাপাশি, পেনশনের ব্যবস্থাও করা হতে পারে।
- প্রেম করার জন্যও নাগরিকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে রাশিয়ায়। আলাপচারিতা এবং বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার জন্য প্রথম তিনবার দেখা-সাক্ষাতের খরচ হিসেবেও টাকা দেওয়া হবে, প্রায় ৫০০০ টাকা করে।
- বিয়ের পর হোটেলে কয়েক রাত যাতে উপভোগ করতে পারেন নববিবাহিতরা, তার জন্যও টাকা দেওয়ার ভাবনা রয়েছে, প্রায় ২৩ হাজার টাকার মতো।
- পাশাপাশি, ফর্ম বিতরণও শুরু হয়েছে, যেখানে যৌনতা, ঋতুস্রাব সংক্রান্ত তথ্য লিখতে হবে মহিলাদের। কেউ যদি উত্তর জানাতে না চান, তাঁকে পাঠানো হবে চিকিৎসকের কাছে।
এছাড়াও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও লিখতে হবে মহিলাদের। সেটির জন্যই দেওয়া হচ্ছে ফর্ম। মহিলাদের যে যে প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হচ্ছে ফর্মে, তা হল- ১) কোন বয়সে প্রথম যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন? ২) নিরোধক ব্যবহার করেন কি? ৩) আগে কখনও গর্ভধারণ করেছিলেন কি না, বন্ধ্যাত্ব রয়েছে কি? ৪) সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি? ৫) ঋতুচক্রের বিশদ তথ্য, শারীরিক সম্পর্কের সময় যন্ত্রণা হয় কি না, রক্তপাত হয় কি না।
জন্মহার বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার খবারোভস্কে একাধিক নিয়ম চালু করা হয়েছে। সেখানে ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সি মেয়ে, যাঁদের শিক্ষা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা হলে প্রায় ১ লক্ষ টাকা পেতে পারেন। প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে মিলবে প্রায় ৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। অফিসে কাজের ফাঁকেও নাগরিকদের প্রজননে উৎসাহিত করেছেন খবারোভস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভগনি শেস্তোপালোভ। খোদ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মহিলাদের তিনটি করে সন্তান ধারণে উৎসাহ জোগাচ্ছেন। এমনকি নিঃসন্তান জীবনও নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাশিয়ায়।