একটা স্টেশন, সেটাতে কোনওই সমস্যা ছিল না। সুন্দর ট্রেন থেকে লোকজন স্টেশনে নামে, ওঠে। আচমকা একদিন স্টেশনের গায়ে তকমা লেগে গেল ভুতুরের। শোনা গেল এই স্টেশনে নাকি ভয়ঙ্কর অশরীরী উপদ্রব। পশ্চিমবঙ্গের এই স্টেশনের নাম বেগুনকোদর।
পুরুলিয়ার সীমান্তবর্তী এক স্টেশন বেগুনকোদর। এইও স্টেশনে একবার ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। একদিন মধ্যরাতে এখানকার স্টেশন মাস্টার ও তার স্ত্রী খুন হন। তারপর থেকেই নাকি স্টেশন জুড়ে শুরু হয় অশরীরী তাণ্ডব। ধীরে ধীরে একথা রটেও যায়। ফলে লোকজনের আনাগোনাও কমতে থাকে। সকলেই বেগুনকোদরকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। যাত্রীরা যখন কেউ ওঠেও না, বা নামে না তখন আর ট্রেন দাঁড়িয়েই বা কী করবে? তাই পরের দিকে বেগুনকোদরে ট্রেন থামাও বন্ধ হয়ে যায়।
এইভাবেই ৫০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল বেগুনকোদর। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। সেই বছর থেকে আবার এখানে ট্রেন থামতে শুরু করে। তবে একটিই ট্রেন থামে বেগুনকোদর।
তারপরেও ভূতের উপদ্রবের কথা কিন্তু আজও শোনা যায়। মাঝে মধ্যেই নাকি অন্ধকার ট্রেন লাইনের উপরে দেখা যায় দাঁড়িয়ে থাকে সাদা শাড়ি পরা মহিলা। গ্রামবাসীরা অনেক্লেই তাকে নাকি দেখেওছেন। এত বছর প[অর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও বিশডেষ লাভ হয়নি। এখনও মানুষ এই স্টেশনটিকে এড়িয়ে চলাই পছন্দ করেন।