শনিদেবকে বলা হয় কর্মফলদাতা। তিনি মানুষকে কর্ম অনুযায়ী ফল দান করেন। শনিদেব অন্যান্য দেব দেবতার তুলনায় একটু বেশিই কড়া। জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, কুণ্ডলীতে শনির অবস্থান দুর্বল হলে সেই ব্যক্তির নেতিবাচক ফল হয়। জানেন কী কোন কাজে অসন্তুষ্ট হন বড় ঠাকুর।
ঋণ পরিশোধ না করলে: যদি কারও থেকে টাকা ধার নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করেন তবে শনিদেবের রোষের মুখে পড়তে হয় ব্যক্তিকে। প্রয়োজনে ধার নিলে তা দ্রুত শোধ করুন। আপনার কাছে টাকা থাকলে আগে ঋণ শোধ করুন। ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিলে বড় ঠাকুরের রোষের মুখে পড়েন ব্যক্তি।
পা নাড়ানোর অভ্যেস: যাদের বসার সময় পা নাড়ানোর অভ্যেস আছে তাদেরও শনিদেবের রোষে পড়তে হয়। কেননা জ্যোতিষশাস্ত্রে, পা নাড়ানোর অভ্যাসটিকে ভাল চোখে দেখা হয় না।
এঁটো বাসন: রান্নাঘর সর্বদা পরিস্কার রাখা উচিত। রান্নাঘরে যদি এঁটো বাসন জমা করা থাকলে শনিদেব অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। এটি অশুভ বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, এটি ঘরে নেতিবাচক শক্তি ডেকে আনে। তাই এঁটো বাসন না রেখে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন।
প্রবীণদের অসম্মান করলে: বয়সে বড় গুরুজনদের অপমান করলে রেগে যান শনি ঠাকুর। তাই সর্বদা গুরুজনদের সম্মান করুন। পারলে তাঁদের কাজে সহযোগীতা করুন এতে খুশি হন বড় ঠাকুর।
এছাড়াও কারও সঙ্গে ভণ্ডামি কিংবা প্রতারণা করলেও নেমে আসে শনিদেবের কোপ। জুয়া খেলা সহ অন্যান্য খারাপ নেশায় জড়িয়ে পড়লে শনিদেবের কৃপা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।