এটি হৃদয়কে শক্তিশালী করা থেকে রক্তচাপ কমানো এবং ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করার মতো বিভিন্ন বিষয়ে কার্যকর।
তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এমন অবস্থায়, বাদাম খাওয়ার সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, বিশেষত যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে বা কিডনিতে পাথর রয়েছে।
কীভাবে বাদাম কিডনিতে পাথর তৈরি করে?
বাদামে অক্সালেট থাকে যা ক্যালসিয়ামের সাথে মিলিত হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে এটি কিডনিতে পাথর হিসাবে দেখা যায়। বিশেষত যাদের হাইপারঅক্সালিউরিয়া (মূত্রে বেশি অক্সালেট থাকার সমস্যা) রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেশি।
বাদাম কতটুকু খাওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণবয়স্কদের জন্য দিনে ২০-২৩টি বদাম খাওয়া নিরাপদ। তবে, যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের বাদাম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যে খাবারগুলো থেকেও কিডনিতে পাথর হতে পারে:
সয়া পণ্য
চকলেট
ওটস এবং ওট ব্র্যান
লাল রাজমা, নেভি বিনস এবং ফাভা বিনস
বিট, পালং শাক, কালে শাক এবং টমেটো
কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি কমানোর উপায়:
প্রতিদিন অন্তত ২.৫ লিটার পানি পান করা এবং কম লবণযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। সুষম খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণের মাধ্যমে বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।