
হিন্দুধর্মে মহাকুম্ভের এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। তাই প্রতিবারই কড়া নিরাপত্তায় বেষ্টিত থাকে সম্পূর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন বহু মানুষ। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। অন্তত পক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তবে তা সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপাতত শাহি স্নান বন্ধ। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
১৯৫৪ সাল
স্বাধীনতার পরে প্রথম কুম্ভ মেলা ছিল সেটি। অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রয়াগরাজেই ( তৎকালীন এলাহাবাদে)। সেখানেও ঘটেছিল এরকমই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দিনটি ছিল ৩ ফেব্রুয়ারি, সেই মৌনী অমাবস্যা। নদীর জলে ডুবে এবং পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৮০০ মানুষ।
১৯৮৬ সাল
একই দুর্ঘটনা হয়েছিল ১৯৮৬ সালেও। সেই সময় স্থান ছিল হরিদ্বার। ২০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেদিন মেলায় এসেছিলেন। নিরাপত্তার কারণে সাধারণ মানুষের স্নান সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। ব্যস! মুহূর্তে মানুষ উদ্বেল হয়ে উঠে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। আর তারপরই এই মৃত্যুমিছিল।
২০০৩ সাল
মহারাষ্ট্রের নাসিকে গোদাবরী নদীর তীরে বসেছিল কুম্ভ মেলা। ঠেলাঠেলিতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু, ১০০ জন আহত হয়েছিলেন।
২০১৩ সাল
এরপর ঠিক ১০ বছর পর এলাহাবাদের কুম্ভমেলা। সেবার মেলা চত্বরে নয়, রেলব্রিজ ভেঙে পড়ে মৃত্যু ঘটেছিল ৪২ জনের, ৪৫ জন আহত হয়েছিলেন।
২০২৫ সাল
প্রবল কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মাঝেও প্রায় একযুগ পরে ফের মেলাচত্বরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। রাত দুটোর সময়ে ব্যারিকেড ভেঙে গিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি। তার জেরে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্তত পক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।