
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পুর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরমন। চলতি বছরে অষ্টমবারের জন্য সংসদে বাজেট পেশ করবেন জহওরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া সীতারমন।
আর্থিক বছরের ব্যয় বরাদ্দের জন্য নির্মলাকে সাহায্য করেছেন বেশ কয়েক জন আধিকারিক এবং অর্থনীতিবিদ। সেই তালিকায় প্রথমেই আসবে তুহিনকান্ত পাণ্ডের নাম। বর্তমানে কেন্দ্রের অর্থ এবং রাজস্ব সচিবের পদে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিনিয়োগ এবং সাধারণের সম্পদ ব্যবস্থাপনা দফতরের সচিব ছিলেন তুহিনকান্ত।
২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটের জন্য আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করছেন ভি অনন্ত নাগেশ্বরন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা পদে রয়েছেন তিনি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। প্রথম জীবনে বেশ কিছু দিন শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
বর্তমানে অর্থ মন্ত্রকের খরচ সংক্রান্ত দফতরের সচিব পদে রয়েছেন মনোজ গোভিল। ১৯৯১ ব্যাচের মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের এই আইএএস আধিকারিক এর আগে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব পদে ছিলেন। তিনিও সাহায্য করছেন নির্মলাকে। সূত্রের খবর, সরকারি ভর্তুকিমূলক প্রকল্পগুলিকে যুক্তিসঙ্গত করার দিকে নজর দেওয়ার দায়িত্ব গোভিলের কাঁধে দিয়েছেন সীতারামন।
আর্থিক বিষয়ক দফতরের প্রধান হিসাবে কাজ করছেন অজয় শেঠ। তাই এবারের বাজেটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। বাজেটের যাবতীয় নথি তৈরি করা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে অজয়ের হাত ধরেই।
আর্থিক পরিষেবা দফতরের সচিব এম নাগরাজুও রয়েছেন নির্মলা সীতারামনের বাজেট তৈরির কোর দলে। ঋণের সুষ্ঠু প্রবাহ নিশ্চিত করা, ফিনটেক সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং বিমার ক্ষেত্রের সম্প্রসারণে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থ মন্ত্রকে আসার আগে কয়লা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন নাগরাজু।
বিনিয়োগ এবং সাধারণের সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং পাবলিক এন্টারপ্রাইজ় দফতরের সচিব অরুণীশ চাওলা এবারের বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর কাঁধে রয়েছে সরকারের বিলগ্নিকরণ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পদের নগদিকরণের দায়িত্বভার।