ডিম খেতে সকলেই কম-বেশি ভালবাসে। সকালে না সন্ধেবেলায়, না কি রাতে, ডিম কখন খেলে ভাল? এই প্রশ্ন এখন অনেকেরই। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, ডিম দিনে ক’টা খাচ্ছেন তা যেমন জরুরি, তেমনি কখন খাচ্ছেন তা-ও গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, ওজন কমাতে চাইলে প্রাতরাশে ডিম খাওয়াই ভাল। ডিম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনে পরিপূর্ণ। তাই ডিম খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। প্রাতরাশে ডিম খেলে বেশ অনেকটা সময় পেট ভরা থাকবে, ফলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে না। তবে যাঁরা প্রতি দিন শরীরচর্চা করেন না বা কায়িক পরিশ্রমও কম হয়, তাঁরা দিনে দু’টির বেশি ডিম খাবেন না।

কার্ডিয়ো বা ওয়েট ট্রেনিং করেন যাঁরা, অথবা ভারী ব্যায়াম করেন তাঁরা দিনে ২-৩টি ডিম খেতেই পারেন। তবে শরীর বুঝে খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে শরীরচর্চার পরে ডিম খাওয়াই ভাল। ব্যায়ামের পরে পেশির ক্লান্তি দূর করার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতেই হয়। ওই সময়ে অন্তত একটি সিদ্ধ ডিম বা ডিমের পোচ খাওয়া ভাল। তবে শরীরচর্চা করার অন্তত আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পরে খাবার খাওয়া উচিৎ।

অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া থাকলে রাতে খাবার খাওয়ার পরে ডিম খাওয়া যেতে পারে। নানা গবেষণায় প্রমাণিত, ডিম যে কোনও রকম ঘুমের সমস্যা বা ‘স্লিপ ডিসঅর্ডার’-এর মতো সমস্যা দূর করতে পারে। কারণ ডিমে থাকে ট্রিপটোফ্যান নামে একধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। মেলাটোনিনের মাত্রা সঠিক থাকলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

চল্লিশ পেরিয়ে গেলে কোলেস্টেরলের কথা ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। পরিমিত খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলে সপ্তাহে তিনটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। যাঁরা তবুও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না, তাঁরা ডিম খেতে পারেন কুসুম বাদ দিয়ে। আর সে ক্ষেত্রে ডিম খালি পেটে নয়, দুটি মিলের মাঝে খেতে পারেন। এর পরেও পুষ্টি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে এক বার চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here