কমলা হ্যারিসের সমস্ত আশায় জলাঞ্জলি দিয়ে বুধবার ফের হোয়াইট হাউজের পথে পা বাড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তারপর থকেই সতর্ক হয়েছে চিন। তবে এত সতর্কতার মধ্যেও প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাতে ভোলেনি তারা। প্রাথমিক ভাবে বুধবার চিনা বিদেশ দফতরের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলবে চিন।’’ সেই সঙ্গে সরাসরি ট্রাম্পের নাম না করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সুযোগ নষ্ট না করা হলে এই ফলাফল বেজিং-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।’’

বুধবার গভীর রাতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে ফোন করেন বলে একদলীয় চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রে জানানো হয়েছে। বাইডেনের জমানায় তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-চিনের সংঘাত ট্রাম্পের আমলে নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল।

এর পর সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও চলতি বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।

কূটনীতিকদের একাংশের মতে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে ভূ-রাজনৈতিক খেলার প্রথম রাউন্ডে পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে বেশ অনুকূল। যদিও লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-তে সংঘাতের ইতি টানতে ভারত-চিন সমঝোতা আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট কী ভাবে দেখবেন, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে সাউথ ব্লকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here