মানুষের সঙ্গে কথা বলে, দেহের গঠন দেখে, ভঙ্গি দেখে খানিকটা আন্দাজ করা সে কেমন। কিন্তু দেহের বিশেষ একটি অঙ্গের আকার বলে দিতে পারে আপনি মানুষটি ঠিক কেমন। সেটি হল নাভি। নাভির আকার নিয়ে গবেষণাও হয় বিস্তর। ইংরেজিতে যাকে বলে ওমফেলোম্যানসি। নাভির আকৃতি দেখে কোনও ব্যক্তির মানসিক গঠন ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক ধারণাই পাওয়া সম্ভব। শুধু কি তাই? কোন ব্যক্তির আয়ু ঠিক কতটা, সে সবও নাকি বলা রয়েছে ‘আন্ডারস্ট্যান্ড ইয়োরসেল্ফ থ্রু ইওর নাভাল’ বইটিতে। কিন্তু জানেন কি, মানবদেহের এই ছোট্ট অঙ্গের কত প্রকার?

১. গভীর, গোলাকার নাভি

এই ধরনের নাভি দেখতে অনেকটা হাঁ করা মুখের মতো। কোনও ব্যক্তির পেটের আশপাশে মেদ থাকলে, তাঁর নাভির আকার এমনটা হয়। গোলাকার নাভির মানুষরা সাধারণত মনের দিক থেকে অনেকটা উদার হন। কিন্তু তাঁরা খুবই লাজুক প্রকৃতির। তাই তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত কথা কখনওই মুখ ফুটে বলতে পারেন না। এই অন্তর্মুখী মানসিকতা কখনও কখনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করে।

২. ছোট এবং অগভীর

এমন নাভির অধিকারীরা সাধারণত খুব মিশুকে এবং মজার চরিত্র। যৌনতার বিষয়েও এরা বেশ খোলামেলা। ‘যখন যেমন, তখন তেমন’ এই নীতিতে বিশ্বাস করেন অগভীর, ছোট নাভির অধিকারীরা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এঁরা ভীষণ আবেগতাড়িত। তাই মন ভাল বা মন খারাপ, এই দুইয়ের উপরেই নিজের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

৩. পাতলা, লম্বাটে নাভি

আপনার নাভির আকৃতি যদি হয় একটু লম্বা বা নিম্নাভিমুখী, তা হলে আপনি নিজের ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং মানসিক ভাবেও যথেষ্ট দৃঢ়। তাই বাইরের কোনও ঝড়-ঝাপটা চট করে মনে প্রভাব ফেলতে পারে না। যুক্তি দিয়ে বিচার করে তবেই কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এই নাভির অধিকারীরা।

৪. ডিম্বাকৃতি নাভি

যদি কারও নাভির আকার ডিমের মতো হয়, তা হলে আপনি অত্যন্ত সংবেদনশীল এক জন মানুষ। আপনি কখনওই কাজ না করে বসে থাকাতে পছন্দ করেন না এবং সময় অপচয় করায় বিশ্বাসী নন। তবে এই নাভির অধিকারী যাঁরা, তাঁদের সহজেই আঘাত করা যায়। নিজের ব্যক্তিগত ভাল লাগা, খারাপ লাগা নিয়ে এরা আলোচনা করতে পছন্দ করেন না।

৫. চওড়া নাভি

কারও নাভির আকৃতি যদি চওড়া হয়, তাঁরা সাধারণত একটু জটিল মানসিকতার। তাই চট করে যে কোন মানুষকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেন না। অথচ তাঁরা যথেষ্ট আবেগপ্রবণ। তাই এক বার যদি নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে ফেলেন, আমৃত্যু তা রাখার চেষ্টা করেন।

৬. বহির্মুখী

সদ্যোজাতদের শরীরে এমন আকৃতির নাভি দেখা যায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই নাভির আকারে পরিবর্তন আসে। আবার ব্যতিক্রমও রয়েছে। গবেষণা বলছে, যাঁদের নাভি খানিকটা বাইরে বেরিয়ে থাকে, তাঁরা অত্যন্ত জেদি এবং একরোখা প্রকৃতির। কথা বলতে ভালবাসলেও খুব একটা সহজ মনের নয়। তাই এদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া খুব মুশকিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here