আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, হলুদকে ঔষধি গুণ সমৃদ্ধে ভরপুর একটি উপাদান হিসেবে মনে করা হয়। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের উপকার করে এবং অনেক রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও আপনি কি জানেন যে কিছু মানুষ সোনালি দুধ পান করতে নিষেধ করেন। হলুদের দুধ পান করলে উপকারের পরিবর্তে তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে, কোন ব্যক্তিদের হলুদ দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ তা জানা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ভুলেও হলুদের সঙ্গে দুধ পান করা উচিৎ নয় এই ব্যক্তিদের

নিম্ন রক্তচাপের রোগী

আপনার যদি ইতিমধ্যেই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তবে হলুদ দুধ আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। কারণ হলুদের দুধ রক্তচাপ আরও কমাতে পারে। যার কারণে লো বিপি রোগীদের সমস্যা বাড়তে পারে।

হলুদ দুধে অ্যালার্জি থাকলে

হলুদ দুধ পান করার পর কিছু লোকের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে। হলুদের দুধ পান করার পর যদি আপনি শরীরে ফুসকুড়ি, আমবাত, চুলকানি বা শ্বাস নিতে অসুবিধা অনুভব করেন, তাহলে হলুদের দুধ পান করার আগে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। সোনালি দুধে আপনার অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

গলব্লাডার সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে

গলব্লাডার সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে হলুদের দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ হলুদ পিত্ত উত্পাদন সক্রিয় করে গল ব্লাডার সংক্রান্ত সমস্যা বাড়াতে পারে। এমন অবস্থায় আপনার যদি পিত্তজনিত কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে হলুদের দুধ একেবারেই পান করবেন না।

আয়রনের ঘাটতি থাকলে

প্রতিদিন হলুদের দুধ পান করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কারণ অনেক সময় হলুদ দুধে উপস্থিত আয়রন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে এবং শরীরে রক্তাল্পতা সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে যারা ইতিমধ্যেই রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগছেন তাদের হলুদ দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।

লো ডায়াবিটিস রোগী

হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক রাসায়নিক ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যাদের ইতিমধ্যেই কম চিনি রয়েছে তাদের হলুদ দুধ ও জল এড়িয়ে চলা উচিৎ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here