প্রতি ১২ বছর অন্তর পালিত হয় মহাকুম্ভ। ভারতে চারটি কুম্ভমেলার স্থান হল প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িনী, নাসিক ও হরিদ্বার। ২০২৫ সালে প্রয়াগে ১২ বছর পর গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর মিলনস্থল ত্রিবেণী ঘাটে আয়োজিত হবে মহাকুম্ভ।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে শুক্রের রাশি বৃষতে দেবগুরু বৃহস্পতি যখন গোচর করে, সেই বছর মাঘ মাসে সূর্য মকর রাশিতে এলে তীর্থরাজ প্রয়াগে অনুষ্ঠিত হয় মহাকুম্ভ। বৃহস্পতি এক এক রাশিতে এক এক বছর অবস্থান করে। সেই হিসেবে ১২ রাশি ঘুরে আসতে বৃহস্পতির ১২ বছর লাগে। তাই একবার বৃষ থেকে বেরনোর পর গোটা রাশিচক্র প্রদক্ষিণ করে ফের বৃষ রাশিতে ১২ বছর পর পর আসে বৃহস্পতি।
মৌনি অমাবস্যায় মকর রাশিতে সূর্য ও চন্দ্র মিলিত হবে। মৌনি অমাবস্যায় হবে মহাকুম্ভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাহী স্নান। প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিনে গঙ্গার জলে প্রথম সূর্যের আলো পড়লে অমৃত সৃষ্টি হয়। এই বিশেষ সন্ধিক্ষণে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে বহু অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
মহাকুম্ভ ২০২৫ শুরু হবে আগামী ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা থেকে। পৌষ পূর্ণিমার পরের দিন, অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি পালিত হবে মকর সংক্রান্তি। সেদিন হবে মহাকুম্ভের প্রথম শাহী স্নান। পরবর্তী শাহী স্নান হবে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ মৌনি অমাবস্যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ হবে বসন্ত পঞ্চমীর শাহী স্নান। এর পরের শাহী স্নান হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমায় আর মহাকুম্ভ ২০২৫-এর শেষ শাহী স্নান পালিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে।