বায়ুদূষণ ও ধূমপানের কারণে ফুসফুসে বাসা বাধছে নানা জটিল রোগ। ফুসফুসে জমে যাওয়া ময়লা দূর করাও জরুরি। নিয়মিত ভেষজ উপাদান খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর রাখা যেতে পারে ফুসফুস। তাই ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, ই, ডি, সি, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজগুলো রাখতে হবে। এসব উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে কাজ করে।
ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফুসফুসের কার্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ভাইরালও, যা ফুসফুসে প্রভাবিত ভাইরাল সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তুলসি। এর পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসি গাছ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অল্প করে তুলসি পাতার রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর হয়।
এছাড়াও খেতে পারেন ওরিগ্যানো। এতে রয়েছে রোজমারিনিক অ্যাসিড, যা ফুসফুস পরিষ্কারে কাজ করে। ওরিগ্যানোতে থাকা কারাক্রোল, ফুসফুসে জমাট বাধা রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। ওরিগ্যানো অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্যান্য রোগের সংক্রমণ থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে।
এছাড়া প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া খুব ভাল। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সপ্তাহে পাঁচটির বেশি আপেল খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। অ্যাজমার মতো বেশকিছু রোগ থেকেও বাঁচায় আপেলে থাকা পুষ্টিগুণ।
কালোজিরা সব রোগের মহৌষধ হিসেবে বিবেচিত। প্রতিদিন আধা চা চামচ কালোজিরার গুঁড়া এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।
ফুসফুসের জন্য আমলকি খাওয়াও খুব ভাল। প্রতিদিন আমলকি খেলে ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।