বাতকর্ম নিঃশব্দই হোক বা সশব্দই- তার দায় কেউ নিতে চান না। আর সর্বসমক্ষে হলে তো এ ওর মুখের দিকে তাকান, সে তাঁর মুখের দিকে। কিন্তু সবারই হাতটি থাকে নাকে। বাতকর্ম হওয়ার নেপথ্যে কিন্তু রয়েছে আমাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকা। এর পেছনের কারণগুলো শুধরে নিলে কিন্তু এই বাতকর্ম থেকে অনেকাংশে নিষ্কৃতি মিলবে।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন কাজে বাতকর্ম বেশি হয়-
সোডা জাতীয় পানীয় পান
বাজারে সোডা জাতীয় যেসব সফট ড্রিংস পাওয়া যায় তাতে কার্বোনেটেড মেশানো থাকে। তাই পান করার কিছুক্ষণ পর থেকে ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এই হাওয়া উর্দ্ধমুখী বা নিম্নমুখী হয়ে বার হয়।
স্যালাড
স্যালাড কিন্তু আপনার অতিরিক্ত বাতকর্মের নেপথ্য কারণ হতে পারে। আসলে স্যালাডে ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা শাকসবজিতে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট থাকে যা সহজে হজম হয় না। এর থেকেই গ্যাস হয়।
মূলো
শীতকালে সাদা, লাল, গোল চ্যাপ্টা, লম্বা বিভিন্ন ধরনের মূলো দেখতে পাওয়া যায়। শীতের সবজির স্বাদ তো অসাধারণ। তাই অনেকেই রান্নায় মূল দেন, কাঁচাও খান। আর মূলোতে খুব গ্যাস হয়, যার ফল বাতকর্ম।
হাওয়া গিলে ফেলা
খাওয়া, কথা বলা, স্ট্র দিয়ে কোন পানীয় পান করা ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে আপনি অজান্তেই বেশ খানিকটা হাওয়া গিলে ফেলেন। সেটা গিয়ে জমা হয় ইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে। যখন আর হাওয়া ধরার জায়গা থাকে না, তখন সেটা বাতকর্মের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
মিষ্টি
আজকের বেশির ভাগ মিষ্টিতে বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে কৃত্রিম চিনি দেওয়া হয়। যাকে ইংরেজি আর্টিফিশিয়াল সুইটনার বলা হয়। এই চিনি কখনই আমাদের শরীর হজম করতে পারে না। ফলে শরীরে জমা হয়ে তা ফার্মেন্টেড হয় এবং গ্যাস তৈরি করে।
মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ কখনওই ভাল নয়। তা বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। এর থেকে বাতকর্ম হওয়াও কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। পেটের সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। ফলে মানসিক চাপ থাকলে তা পরোক্ষে পেটের ওপরও চাপ তৈরি করে।
সদ্য মা হয়েছেন
এ সময়ে এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আসলে পেটের যে অংশ জুড়ে বাচ্চা ছিল, তা বেরিয়ে আসার পর সেই খালি জায়গায় জমা হয় গ্যাস। তার ফলেই এমনটা হয়। ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
পেট যদি ঠিকমতো পরিষ্কার না হয় কিংবা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয় তা হলে বাতকর্ম হবেই। এ রোগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় সেক্ষেত্রে দুর্গন্ধযুক্ত বাতকর্ম হয়। জমে থাকা মল থেকে গ্যাস নির্গত হয় এবং তা বাতকর্মের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।