অনেকেই মনে করেন গাছে বেশি করে রাসয়নিক সার দিলে তবেই ফলবে ফুল-ফল। অথচ জানেন, ভারতেই এক রাজ্য রয়েছে যেখানে ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না কোনও রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। সেই রাজ্য কোনটি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রাজ্যটি চারিদিক পাহাড়বেষ্টিত। এখানে ঘোড়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন পর্যটকেরা। এই রাজ্যে হয় জৈব চাষ। আর জৈব চাষের জন্যই ভারতের এই রাজ্য জৈব কৃষি নির্ভর রাজ্যের তকমা পেয়েছে। এই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কীটনাশক ব্যহবারের উপর কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাজ্যটি হল আমাদের পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। যেখানে বহু বাঙালি প্রতিবছর ঘুরতে যান। ২০১৬ সালে এই রাজ্যকে প্রথম জৈব রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। চাষের জমিতে রাসায়নিক বা কীটনাশক ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ফসল ফলানোর ধরণকে বলা হয় অর্গানিক চাষ বলা হয়।
সিকিম এই পদ্ধতির প্রয়োগ আরম্ভ করে বিষমুক্ত ফলন শুরু করে। ২০০৩-এ রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং প্রথম যখন কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাঁর এই চিন্তা-ভাবনা তখন সারা রাজ্যে এক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
২০০৪ সালে আইন করে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। এই আইন চালু হওয়ায় প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা দেখা দেয়। প্রথমে প্রায় দুই-তিন বছর ফলন কিছুটা কম হয়। কিন্তু হার মানতে রাজি ছিলেন না চামলিং।
এরপরই তিনি রাজ্য জুড়ে শুরু করেন জৈব চাষের ব্যবস্থা। ধীরে ধীরে কৃষকরাও লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। ২০১৪ থেকে কীটনাশকের ব্যবহার এই রাজ্যে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়।