শরীর সুস্থ রাখতে রোজ হাঁটা খুবই জরুরি। এই অভ্যাস থাকলে বড় রোগেরও ঝুঁকি অনেক কমে যায়। শীতকালেও কিন্তু নিত্যদিন হাঁটা শরীরের জন্য খুব ভাল। এতে শরীর ফিট থাকার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়তে থাকে।

তবে শীতকালে অনেকেই ঠান্ডা ও খুব কুয়াশার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে চান না। মনে করেন, এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পরে। শীতকালে যখন তখন হাঁটা একদমই শরীরের জন্য ভালো নয়। তবে এই সময় যদি হাঁটেন, তাহলে আপনার শরীর কিন্তু সুস্থ থাকবে। জানুন শীতকালে কোন সময় নিত্যদিন হাঁটবেন।

এই সময় ভুলেও হাঁটতে যাবেন না

শীতকালে খুব ভোরবেলা হাঁটা একদমই ভাল নয়। অনেকেই কিন্তু ভোরবেলা চারটে, পাঁচটার সময় হাঁটতে বেরোন। এটি কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আপনার তত দ্রুত হাঁটতে পারবেন না এবং প্রচন্ড শীত অনুভব করবেন। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা একদমই হাঁটবেন না। এই সময়ে হার্ট দুর্বল থাকে। যাতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। রক্তচাপ কিন্তু ক্রমশ বাড়তে থাকে। একদমই ভোর চারটে পাঁচটার সময় হাঁটতে যাবেন না।

শীতে কোন সময়ে হাঁটবেন

শীতের মরসুমে হাঁটার সবথেকে ভাল সময় হচ্ছে, সকাল আটটা থেকে নটার মধ্যে। কারণ এসময় সূর্যের আলো বের হয়ে যায়। এতে আপনার শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণ হবে। এই সময়ে আপনি ভাল জোরেও হাঁটতে পারবেন। আর ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে। সেই সঙ্গে শরীরে ভিটামিন ডিয়ের ঘাটতি কিন্তু পূরণ হবে।

কতক্ষণ হাঁটবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিত্যদিন আধঘন্টা হলেও হাঁটা উচিৎ। আর শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটবেন। প্রত্যেকদিন একটি ব্যক্তিকে অন্তত আধঘন্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই কিন্তু আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হাড় ও পেশি মজবুত হবে।

কেন এই সময়ে হাঁটবেন

কমবে বাতের ব্যথা, চিকিৎসকদের মতে, হাঁটার পর যদি আপনি কিছু সময় ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে মানসিক চাপ কিন্তু অনেকটাই কমবে। তবে শীতকালে রোদে হাঁটবেন। এতে শরীর আপনার গরম থাকবে। সেই সঙ্গে খুব জোরে হাঁটতে পারবেন। এতে কিন্তু শরীরের দ্রুত ক্যালোরি কমবে। শরীর কিন্তু খুব সুস্থ থাকবে। ভুলেও খুব ভোরবেলা একদমই হাঁটবেন না। এতে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই আপনি আগেই সাবধান হোন আপনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here