আমরা সতীর ৫১ পীঠের কথাই সকলে জানি। বিভিন্ন শাস্ত্রে কিন্তু এই সংখ্যা পরিবর্তিত হয়েছে। যেমন পীঠ নির্নয় তন্ত্র গ্রন্থে শক্তিপীঠের সংখ্যা ৫১। শিবচরিত গ্রন্থে ৫১ পীঠের সাথে সাথে ২৬ উপপীঠেরও উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কুব্জিকাতন্ত্র গ্রন্থে শক্তিপীঠের সংখ্যা ৪২। জ্ঞানার্নবতন্ত্রে আবার পীঠের সংখ্যা ৫০। অর্থাৎ এ’কথা বলাই যায় যে সব শক্তিপীঠের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। সকল শক্তিপীঠের নাম পুরানে উল্লেখ থাকলেও ৪৭ টির সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকি ৪টি সতীপীঠ কোথায় রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
১। শ্রীলঙ্কার শক্তিপীঠ: পুরাণের বর্ননায় আছে যে শ্রীলঙ্কায় সতীর দেহ নয়, পড়েছিল গহনা। এখানে দেবীর নাম ইন্দ্রাক্ষী এবং শিবের নাম রাক্ষসেশ্বর। কোথায় যে এই শক্তিপীঠ রয়েছে তা আজও জানা যায়নি।
২। পঞ্চসাগর শক্তিপীঠ: এই সতীপীঠে মায়ের চোয়াল পতিত হয়েছিল। এখানে দেবী বারাহী নামে পরিচিত।
৩। রত্নাভল শক্তিপীঠ: পুরাণের বিবরন অনুযায়ী এই সতীপীঠ চেন্নাই এর কাছাকাছি কোনও স্থানে রয়েছে। সেই ‘কোনও’ স্থানটি যে কোথায় তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। পুরান অনুযায়ী এই স্থানে দেবী সতীর দক্ষিণ অর্থাৎ ডান স্কন্ধ পড়েছিল। এই পীঠে সতীকে কুমারী এবং শিবকে ভৈরব নামে বর্ননা দেওয়া হয়েছে।
৪। কালমাধব শক্তিপীঠ: বলা হয়, এই স্থানে দেবীর নিতম্ব পতিত হয়েছিল। এখানে সতীর নাম কালমাধব এবং শিব হল অসিতানন্দ। এই কালমাধব পীঠ যে কোথায় রয়েছে তা আজও জানা যায়নি।