বাংলার ক্রীড়াবিদদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে সন্তোষ ট্রফিজয়ী দলের ফুটবলারদের সরকারি চাকরি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলার আথলিটদের পালা!
উত্তরাখণ্ডে জাতীয় গেমসের ৩৮তম আসর বসছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলতে আসবেন প্রতিযোগীরা। এই মঞ্চে বাংলার পদকজয়ীদের সরকারি চাকরি দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা অনেক ক্রীড়াবিদ জাতীয় গেমসে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্য সরকার।
এবারের জাতীয় গেমসের আসরে বাংলা থেকে সব মিলিয়ে মোট ৩৯৫ সদস্যের একটি দল পাঠানো হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। যার মধ্যে ২০০ জন মহিলা এবং ১১৪ জন পুরুষ ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। গতবার বাংলার স্থান ছিল ১৮। এবার আরও উন্নতি চাইছেন বেঙ্গল অলিম্পিক্স আসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন রায় চৌধুরী, সেক্রেটারি জহর দাস’রা। আসন্ন এই প্রতিযোগিতায় ‘সেফ দ্য মিসন’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিশ্বরূপ দে’কে। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে মোট ৯টি ভেন্যুতে হবে প্রতিযোগিতা, যার মধ্যে সব থেকে বেশি ইভেন্ট হবে দেরাদুনে(১১টি)।
উত্তরাখণ্ডে আয়োজিত জাতীয় গেমসে বাংলা দলের জন্য মোট ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, দলের প্রত্যেক সদস্যের কিটস’ও দেবে তারা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় গেমসে পদকজয়ী বাংলার প্রত্যেক সদস্যকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদদের ৩ লক্ষ, রুপো এবং ব্রোঞ্জ পদকজয়ীদের ২ এবং ১ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে রাজ্য। ক্রীড়াদফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা জানান, ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়ানীতি তৈরি করা হচ্ছে যা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এই প্রসঙ্গে বিওএ’র সহ-সভাপতি বিশ্বরূপ দে বলেন, “প্লেয়ারদের শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে এই নিয়ম তৈরি করা হবে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here