মাইগ্রেন রোগ যে কতটা কষ্টকর যাদের হয় তারাই বোঝেন। এই সময়ে জোরে আলো জ্বললে কিংবা উজ্জ্বল আলো কিংবা জোরে আওয়াজ হলে ব্যক্তির জীবনে নানা সমস্যা হয়।

মাইগ্রেনের লক্ষণ হল, মাথার এক অংশ ব্যথা করবে, বমি হতে পারে, আবার শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। তাই আগেই সাবধান হোন আপনি। মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নাহলে এই রোগ কিন্তু পরবর্তীকালে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

কেন হয় মাইগ্রেনের সমস্যা

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেন কি কারনে হয়, তা এখনও কিন্তু স্পষ্ট নয়। তবে যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন তাদের কিন্তু অনেক ঝুঁকি থাকে। যেমন তারা কিন্তু ভারসাম্যহীনও হয়ে পড়েন অনেক সময়। অনেক কিছু মনে রাখতে পারেন না। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। না হলেই বড় বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ভিটামিন ও খনিজের অভাব হলেই মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। বলা হয় মাইগ্রেনের আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে অন্যান্য ব্যক্তিদের তুলনায় শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির কারণে মাথাব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাই যদি আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, তাহলে তিনি কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ম্যাগনেসিয়ামের সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে আপনাকে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধ খেতে হবে। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে দেরি নয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মানসিক চাপের শিকার

এই মাইগ্রেনের ব্যথা শুধুমাত্র শারীরিকভাবে যে বড় প্রভাব ফেলে, তা নয় মানসিক চাপেরও শিকার হন। মানসিক চাপের কারণেও ব্যক্তি কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। আবার এর থেকে তার প্যানিক ডিজঅর্ডার হয়। বিষন্নতার সৃষ্টি হয়, উদ্বেগে সৃষ্টি হয়, ব্যক্তির সবসময়ই চিন্তার মধ্যে থাকেন। একটা ঘোরের মধ্যে থাকেন।

ঘুমের সমস্যা

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘুমের সমস্যা হয়। কোনও ভাবেই তারা ভালোভাবে ঘুমোতে পারেন না। রিপোর্ট বলছে, এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি ও দ্বিগুণ হয়। তাই গরমকালেও কিন্তু মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব সাবধানে থাকা দরকার।

স্ট্রোকের ঝুঁকি

গবেষকদের মতে, মাইগ্রেনের সমস্যা সরাসরি স্ট্রোকের কারণ, তা কিন্তু এখনও প্রমাণিত নয়। যদিও বারবার অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাইগ্রেন থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে মাইগ্রেনেও আক্রান্ত ব্যক্তিরা যারা ধূমপান করেন, তাদের কিন্তু তা দ্রুতই ছাড়া উচিত।

কীভাবে ঝুঁকি এড়াবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডার সময় অর্থাৎ শীতের সময় মাইগ্রেনের ঝুঁকি সবথেকে বেশি। শীতকালে মাথাব্যথার বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধ করা খুব জরুরী। তাই এসময় শরীরের দিকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। নিত্যদিন ব্যায়াম করতে হয়। তবেই কিন্তু আপনি শীতকালে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here