ভারতীয় নৌবাহিনী বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সুন্দর, সুরক্ষা প্রদানকারী বাহিনী। প্রতি বছর তাই ৪ ডিসেম্বর পালিত হয় ভারতীয় নৌ দিবস। আজ জেনে নেওয়া যাক ভারতীয় নৌবাহিনীর কিছু অজানা তথ্য।
মারাঠা অধিপতি ছত্রপতি শিবাজিকে ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিবাজি প্রাথমিক পর্যায়ে অ-সামরিক শক্তির তাৎপর্য উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন যে অসামরিক বাহিনী তৈরি করলে ডাচ, পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশদের মতো বৈদেশিক আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি জলদস্যুদের কাছ থেকে কোঙ্কন উপকূলকেও সুরক্ষিত রাখবে।
নৌবাহিনী দিবস ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠার দিনটিকে মেনে হয় না। বরং ১৯৭১ সালে যেদিন ভারতীয় নৌবাহিনী অপারেশন ট্রাইডেন্টে পাকিস্তানের করাচি নৌ সদর দফতরে আক্রমণ চালিয়ে সফল হয়েছিল সেই দিনটিই পালিত হয় নৌবাহিনী দিবস হিসাবে।
২৬/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় নৌবাহিনী সমুদ্র উপকূলে টহল দেওয়ার জন্য তৈরি করেছিল সীমান্ত সুরক্ষা বল। এর উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় জলসীমার উপর নজর রাখা।
১৯৬১ সালে পর্তুগিজ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ভারতীয় নৌবাহিনী প্রথম অংশ নিয়েছিল। এর নামকরণ করা হয়েছিল অপারেশন বিজয়। নৌবাহিনীর এই সাফল্যের পরিনাম ভারতের গোয়া অধিগ্রহণ।
১৯৭১ সালে বাঙ্গলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল আইএনএস বিক্রান্ত। এটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এশিয়ার প্রথম বিমানবাহী রণতরী। ১৯৯৭ সালে আইএনএস বাতিল করা হয়। ভারত নির্মিত প্রথম দেশীয় বিমানবাহী রণতরীটির নামকরণ করা হবে আইএনএস বিক্রান্ত।
প্রথম ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল আর.ডি. কাটারি। তিনি নৌবাহিনীতে নিযুক্ত হন ১৯৫৮ সালে ২২ এপ্রিল।
ভারতীয় নৌবাহিনীর বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যও বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরীগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে এই জাহাজটি পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
কেরালার ইজিমালা নাভাল একাডেমি সমগ্র এশিয়ার বৃহত্তম অসামরিক অ্যাকাডেমি।
ভারতের শত শত অসামরিক তরী রয়েছে যার মধ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী এবং ১২টিরও বেশি সাবমেরিন রয়েছে। রয়েছে একশোটিরও বেশি কম্যান্ড বোট।
আইএনএস অরিহন্ত হল প্রথম ব্যালিস্টিক বুলেট সাবমেরিন যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি অবিরাম সদস্যের একটি ছাড়া অন্য কোনো দেশ তৈরি করেছে।