গাছ ভালবাসলেও অনেকেই স্থানের অভাবে লাগাতে পারেন না। সেই কারণেই ঘরের ভিতরেই বাগান তৈরি করে ফেলেন। ফ্ল্যাটের কোণা, বারান্দা বা রান্নাঘরের জানলার তাক-ই ভরসা। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রঙিন এবং বাহারি গাছ সাজালে দেখতেও কিন্তু বেশ লাগে। তবে শৌখিন গাছের যত্নেও বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। অনেকেরই আক্ষেপ, পর্যাপ্ত আলো-হাওয়ার অভাবে ঘরের ভিতরের গাছ বেশি দিন বাঁচে না। ফলে সঠিক যত্নের অভাবে গাছ মরে যায়, নয়তো ঘন ঘন পরিবর্তন করে ফেলতে হয়। তবে অনেকেই ভুলে যান, বাগানে বেড়ে ওঠা গাছ আর ঘরের ভিতরের গাছের যত্ন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা। এদের পরিচর্যা, বাঁচিয়ে রাখার নিয়ম সবেতেই ফারাক রয়েছে।
১) ঘরের ভিতরের গাছে পর্যাপ্ত জল প্রয়োজন। তবে বাড়তি জল দেওয়াও চলবে না। বাগানের গাছ বাড়তি জল পেলেও সূর্যালোকের সাহায্যে তা কিছুটা শোষণ করে নেয়। ইন্ডোর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই উপায় কতটা কার্যকর হয় না। এ ক্ষেত্রে জল দেওয়ার আগে মাটির আর্দ্রতা দেখে নেওয়া জরুরি। যদি দেখেন মাটি ভেজা, তা হলে জল দিনে বুঝেশুনে।
২) ইন্ডোর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে ঘরে মজুত রাখুন বিশেষ খনিজ সমৃদ্ধ সার। ফসফেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আছে এমন সার দিন গাছে। এতে পোকামাকড়ের অত্যাচার থেকে গাছ সুরক্ষিত রাখা যায়।
৩) বেশি আলো-বাতাস ঢোকে না এমন ঘরে গাছ রাখবেন না। একান্তই রাখতে চাইলে ক্যাকটাস রাখতে পারেন। এসি লাগানো ঘরেও চেষ্টা করুন ক্যাকটাস জাতীয় গাছ রাখতেই। এসির হাওয়া অন্যান্য গাছের জন্য ভাল নয়।
৪) গাছের গায়ে ঝুল জমলেও পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। খুব ছোট আকারের পাতা হলে কীটনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার রাখুন গাছ। তবে ঝুলঝাড়া বা অন্য কিছু গাছের পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করবেন না।
৫) বাড়ির ভিতরে রাখা গাছগুলির খুব বেশি সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয় না। তবে মাঝেমধ্যে সূর্যের আলোতে রাখা প্রয়োজন। গাছের সালোকসংশ্লেষের পাশাপাশি পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতেও গাছকে সূর্যরশ্মির প্রয়োজন রয়েছে।