আইএসএল কাপ ফাইনালে মুম্বাই সিটির বিরুদ্ধে হাড়ের বদলা নিতে পারল না মোহনবাগান। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ ড্র করে মার ছাড়তে হলো সবুজ মেরুনকে।
সাম্প্রতিক সময়ে গোল হজম করা রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবুজ-মেরুনের। তাই শুক্রবার মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে নামার আগে মোহনবাগানের ডিফেন্স নিয়ে চর্চা হচ্ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে মোহনবাগানের অফেন্স এবং ডিফেন্স দুই বিভাগেই সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এ দিন খেলা শুরুর ৯ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় হোসে মোলিনা ব্রিগেড। বাঁ দিক থেকে লিস্টন কোলাসোর নিচু ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন তিরি(১-০)। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান বাড়ান মোহনবাগানের সবচেয়ে চর্চিত ডিফেন্ডার আলবার্তো রদ্রিগেজ। চলতি বছর ডুরান্ড কাপে খুব একটা ছন্দে দেখা না গেলেও এ দিন মূল্যবান গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ডান দিক থেকে জেসন কামিন্সের ক্রস গ্রেগ স্টুয়ার্ট নামিয়ে দেওয়ার পর চোখের পলক পড়ার আগেই বলটিকে জালে প্রবেশ করান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার(২-০)।
দুই গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁজ সে ভাবে লক্ষ্য করা যায়নি মোহনবাগানের। দিমিত্রি পেত্রাতোস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, জেসন কামিন্স’রা খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেন। যার সুযোগ নিয়ে ৭০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমান তিরি। বক্সের ভিতর জড়াজড়ির মধ্যে বলটিকে জালে প্রবেশ করান প্রাক্তন মোহনবাগানী(২-১)। মুম্বইয়ের মতো দলের বিরুদ্ধে এক গোলের ব্যবধান মোটেই নিরাপদ নয়, তা বুঝতে পেরে ৭১ মিনিটে অভিষেক সূর্যবংশী ও লিস্টন’কে তুলে সাহাল আবদুল সামাদ ও অনিরুদ থাপা’কে নামান কোচ মোলিনা। এরপর ম্যাচের অন্তিম লগ্নে নোফলের বাড়ানো ক্রস থেকে সমতাসূচক গোলটি করেন থায়ের ক্রোমা।