শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা মনে করা হয় এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে এই উপবাস পালন করা হয়। শনি ত্রয়োদশীর দিনটি শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়। এই দিনে পুজো করলে শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এছাড়াও শনি ত্রয়োদশীর উপবাস শনি দোষে আক্রান্তদের জন্য খুবই উপকারী। শনিদেবের কৃপায় বয়স ও স্বাস্থ্যও বৃদ্ধি পায়। এই ব্রত পালন করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি ২৮ ডিসেম্বর শনিবার রাত ২ টো ২৮ মিনিটে শুরু হবে এবং ২৯ ডিসেম্বর রবিবার ভোর ০৩ টে ৩২ মিনিটে শেষ হবে। উদয়তিথি অনুসারে, এই বছর শুধুমাত্র ২৮ ডিসেম্বর শনিবার শনি ত্রয়োদশীর উপবাস পালিত হবে। এই দিনে সন্ধ্যাবেলা পুজো করার গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনের পুজো হবে বিকেল ০৫ টা ২৬ মিনিট থেকে রাত ০৮ টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত।
শনি ত্রয়োদশীর দিনে ভুল করেও এগুলি করবেন না
শনি ত্রয়োদশীর দিনে ভুল করেও কাউকে মিথ্যা বলবেন না, কারণ শনিদেব সত্যের দেবতা। তাই এই দিনে মিথ্যা বলা উচিৎ নয়।
শনিদেব রাগান্বিত হওয়া ঝগড়া চিৎকার করাকে অপছন্দ করেন। তাই শনি ত্রয়োদশীর দিনে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
কাউকে অপমান করলে শনি দোষ হতে পারে। তাই এই দিনে কাউকে অপমান করা থেকে বিরত থাকুন।
কালো রঙকে শনির রঙ বলে মনে করা হয়।
লোহার জিনিসগুলিকে শনির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এই দিনে লোহার জিনিস দান করা থেকে বিরত থাকুন।
পা দিয়ে কাউকে স্পর্শ করলে শনি দোষ হতে পারে।
কাউকে খারাপ কথা বললে শনিদেব রেগে যেতে পারেন। শনিদেব আচারিক দেবতা। তাই এই দিনে অলস হওয়া এড়িয়ে চলুন।
তামসিক খাবার যেমন মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মদ্যপান করলে শনি দোষ বাড়তে পারে।
শনি ত্রয়োদশীর দিনে যা করবেন
শনিদেবের পুজো করুন।
কালো তিল দান করুন।
অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন।
শ্রী হনুমান এর পুজো করুন।
গরীবদের খাবারের ব্যবস্থা করুন।
শনি চল্লিশা পাঠ করুন।
শনি ত্রয়োদশীর গুরুত্ব
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনি ত্রয়োদশীতে উপবাস করা শনি দোষে পীড়িতদের জন্য খুবই উপকারী। শনি দোষের প্রভাবে জীবনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন অসুস্থতা, আর্থিক সমস্যা, পারিবারিক কলহ ইত্যাদি। শনি ত্রয়োদশীতে উপবাস করলে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই ব্রত পালন করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। শনিদেবের কৃপায় ব্যক্তি সম্পদ ও যশ লাভ করেন। শনিদেবের কৃপায় বয়স ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি সুস্থ এবং দীর্ঘজীবি হয়। এই ব্রত পালন করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এই ব্রত পালনের সময় মনে যা ইচ্ছা থাকে তা পূরণ হয়।