খুব বেশি হাঁটাচলা করতে পারেন না। দাঁড়িয়ে থাকলেও কষ্ট হয়। তাই বলে রোজ রাতে পায়ের যন্ত্রণা হবে? ইদানীং আবার পায়ে চাপ দিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলেও কেমন যেন অসাড় লাগে। চট করে উঠে দাঁড়াতে পারেন না। যন্ত্রণা নিরাময়ে বাম, স্প্রে ব্যবহার করেন প্রায়ই। তবে সব সময়ে তা কাজ দেয় না। শরীরচর্চা করলে আরাম মেলে, কিন্তু পায়ে এত ব্যথা হলে রোজ শারীরিক কসরত করবেনই বা কী করে? ঘরোয়া কোনও টোটকায় উপশম হতে পারে কি?
১) প্রতি দিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তেল মালিশ করতে পারেন। তাতে প্রদাহজনিত সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেশির ব্যথায় আরাম মেলে। সর্ষে, নারকেল কিংবা অলিভ অয়েল দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পায়ে মাসাজ করতে পারেন। তেল হালকা গরম করে নিলে বেশি আরাম হবে।
২) শরীরে খনিজের ঘাটতি হলেও অনেক সময়ে পায়ের পেশিতে টান ধরে, যন্ত্রণা করে। নিরাময়ে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখেন অনেকে। তবে ওই জলের মধ্যে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিলেও উপকার হবে। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারে। জলের মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে খনিজগুলি সহজে শরীরে প্রবেশ করে। ঘরোয়া এই টোটকায় পায়ের ব্যথা উপশম হয়।
৩) পায়ে ব্যথা নিয়ে হাঁটাহাটি বা দৌড়— কোনওটিই বিশেষ ফলদায়ক হবে না। বিভিন্ন গবেষণায় সে প্রমাণ মিলেছে। তবে পায়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে, নিয়মিত সেগুলি অভ্যাস করলে উপকার মিলবে।
৪) গোটা শরীরের ভার বইতে বইতে পায়ের হাড়, পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খেলে এবং শরীরে পর্যাপ্ত রোদ লাগালে সমস্যার সমাধান হতে পারে। রক্ত পরীক্ষা করে যদি শরীরে ওই খনিজগুলির অস্বাভাবিক রকম ঘাটতি দেখা যায়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
৫) জলের অভাবে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তখন শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই কারণে ঘুমের মধ্যে অনেকের পায়ের পেশিতে টান ধরে, ব্যথা হয়। তাই চিকিৎসকেরা বলেন, সারা দিনে অন্ততপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার জল খেতে পারলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।