ফের বিতর্কের মুখে টলিউড। অভিযোগ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন টলিউডের এক কেশসজ্জা শিল্পী। সেই সাসপেনশনের মেয়াদ শেষে হলে তিনি কাজে যোগ দেন। কিন্তু, তার পরেও তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয় একের পর এক কাজ। এর জেরেই শনিবার গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কোনও ক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই জখম শিল্পীকে দেখতে ছুটে যান টলিপাড়ার অভিনেতারা। সমাজমাধ্যমেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকে।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “আরও কয়েকটা গিল্ড হোক। আরও লোকজন ক্ষমতা প্রয়োগ করে মানুষের পেটে লাথি মেরে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিক।” ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে কটাক্ষ করে অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে লেখেন, “কেশসজ্জাশিল্পীদের গিল্ড কোনও মান্য সংগঠনই নয়। ফেডারেশন প্রধান স্বরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানেই এই কেশসজ্জাশিল্পীকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছিল। যত ক্ষণ না এই কর্মহারা মানুষগুলি নিজেদের শেষ করে দিতে উদ্যত হচ্ছেন, তত ক্ষণ এমনই হবে? কোন জায়গাটা এরা ছেড়ে রেখেছে কেউ জানে? আর কোন কোন জিনিস নিয়ে প্রতিবাদ করবে মানুষ?”

আর একটি পোস্টে স্বস্তিকা লিখেছেন, “ছাড়া হবে না। কর্মক্ষেত্রে কোনও রকমের হেনস্থা আর হজম করা হবে না। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে জমিদারি প্রথা বিলোপ হওয়ার সময় হয়েছে।”

একই সুরে রূপাঞ্জনা মিত্র লিখেছেন, “সত্যিই এ বার সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছি।” কেশসজ্জাশিল্পীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, “তোর সঙ্গে আমরা সবাই আছি। চিন্তা করিস না।”

সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর মাধ্যমে তিনি এই ঘটনা জানতে পেরেছেন। ইমন লেখেন, “এটা কী শুরু হয়েছে? এঁদের সঙ্গে সর্ব ক্ষণ থাকি। এঁরা আমাদের পরিবার। যাঁর বা যাঁদের জন্য এই অবস্থা, তাঁদের শাস্তি দিতেই হবে। এটা ছাড়া যাবে না। এক জন কোনও রকমে বেঁচেছেন। এর পরে কিন্তু আর আটকানো যাবে না। এই অন্যায় চলতে পারে না।”

অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ লেখেন, “টলিউডের কেশসজ্জাশিল্পী আত্মহত্যার পথ বাছলেন কাজ না পেয়ে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছেন। টলিউডের তালিবানি ‘সন্দীপ ঘোষ’ নাটের গুরু!”

শ্রীলেখা মিত্র তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন আরও অনেকে আছেন, যাঁরা দিনের পরে কাজ পাচ্ছেন না।

ছোট পর্দার অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায় লেখেন, “ছিঃ! আমি ভাবতে পারছি না। বহুদিন ধরে ওঁকে (কেশসজ্জাশিল্পী) আমি চিনি। খুব প্রাণচঞ্চল। ১৫ দিন আগেও কাজ করেছি। এ কী পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে! এই হেনস্থার মানে কী! প্রতিবাদ জানাই।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here