বর্তমানে চুল পড়ার পাশাপাশি সাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও চোখে পরে। অনেকে এই সাদা চুল লুকোতে দেদার রং করেন। কিন্তু রং উঠে গেলে তো সেই আবার পুরনো হাল। বাইরে থেকে তেল, শ্যাম্পু, সিরাম মেখে যদিও বা চুলের ঘনত্ব ভাল হতে পারে, কিন্তু পাকা চুল কালো করা সহজ নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এর সঙ্গে পুষ্টিগত বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। চুলের জন্য প্রোটিন, জ়িঙ্ক, বায়োটিনের মতো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। তবে চুলে পাক ধরার নেপথ্যে যে খনিজটির বড় ভূমিকা রয়েছে, সেটি হল কপার বা তামা।

কপার কীভাবে অকালপক্বতা রোধ করে?

শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে নানা রকমের খনিজ প্রয়োজন। তার মধ্যে তামা বা কপার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরে মেলানিন হরমোন উৎপাদনে তামার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। রক্তে এই হরমোনটির মাত্রা কমে গেলে অকালে চুলে পাক ধরতে শুরু করে।

কোন কোন খাবারে কপারের মাত্রা বেশি?

১) সবুজ শাকপাতায় কপার রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। বিশেষ করে কালে এবং পালংশাকে এই খনিজটির পরিমাণ বেশি।

২) রোজের ডায়েটে নানা ধরনের বাদাম এবং বীজ রাখা যেতে পারে। কাজুবাদাম এবং সূর্যমুখী ফুলের বীজে কপারের পরিমাণ বেশি।

৩) কিনোয়া, বার্লির মতো দানাশস্যেও কপার রয়েছে। তাই ডায়েটে এই ধরনের খাবার থাকা প্রয়োজন।

৪) সুষম খাবারের তালিকা থেকে ডাল, ছোলা কিংবা বিন্‌স জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে কপারের ঘাটতি পূরণ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here