১৪৪ বছর পর এসেছে এই মহাকুম্ভ মেলা। এই সময় পূর্ণ লাভ করতে অনেকেই গঙ্গা স্নান করেন। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্তরা ছুটে আসছেন। সেই ভক্তকুলে বাঙালিদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কিন্তু সমস্যা একটাই, বাঙালি মাত্রই যে খাদ্য রসিক। তায় আবার মাছ প্রিয়। তবে কুম্ভ মেলার আবহে যে সব খানাপিনাই নিরামিষ। তাই কুম্ভে গিয়ে কী খাবেন তা ভেবে হয়রান অনেকেই। নিরামিষ মানেই যে খাবার ভাল নয় এমনটা কিন্তু নয়। বরং ভাল পদ হলে তা কিন্তু বলে বলে গোল দিতে পারে মাছ-মাংসকেও।

প্রয়াগরাজ কিন্তু নিরামিষ খানার স্বর্গরাজ্য। তাই কুম্ভে পুণ্য অর্জন করতে গেলে আপনার পেটকে অবমাননা করবেন না কিন্তু। জানেন কুম্ভে গিয়ে কী কী না খেলেই নয়?

১। ইলাহাবাদি কচুরি খাঁটি ঘিয়ে ভাজা। ভিতরে অড়হর ডাল অথবা পেঁয়াজের পুর ভরা। বাংলায় যা খাস্তা কচুরি নামে পরিচিত তাকেই উত্তর প্রদেশে ইলাহাবাদি কচুরি বলে। এই কচুরির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটিকে ভাঙলেও ভিতরের পুর খোলার সঙ্গেই লেগে থাকে। তা কিন্তু আলাদা হয়ে যায় না। তার সঙ্গে মটরের ঘুগনি, আলুর তরকারি বা আলুর দম। স্বাদে চটপটা ভাব আনতে থাকে তেঁতুল বা লঙ্কার চাটনি, দই আর বুঁদির রায়তা। মুখে গেলেই স্বর্গ।

২। ছোলে সামোসা – হিন্দিতে যা সামোসা বাঙলায় তাই সিঙাড়া। এই সিঙারা কিন্তু পাবেন কেবল এই চত্বরে। বাটির মধ্যে সিঙারা ভেঙে তাতে মশলা ছোলে, দই, তেঁতুলের চাটনি, ধনেপাতা, কুঁচো পেঁয়াজ আর ঝুড়ি ভাজা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। একবার খেলে স্বাদ যে সারা জীবন জিভে লেগে থাকবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

৩। চায়ের সঙ্গে জিলিপি ইলাহাবাদি খানার চমকটা বুঝতে হলে এই দু’টি একসঙ্গে খেতে হবে। ভেরবেলায় ভাজা গরম গরম জিলিপি সঙ্গে মশলা চা। খেলে মন ভাল হতে বাধ্য। এটা দিয়েই সেরে নিন প্রাতরাশ। এই কম্বিনেশন শুনে একটু কেমন কেমন লাগলেও মুখে দিলেই কিন্তু অমৃত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here