গঙ্গাকে ‘মা গঙ্গা’ নামে সম্বোধন করে থাকেন সাধারণ মানুষ। পুরাণ অনুসারে স্বর্গ থেকে মর্ত্যবাসীর কল্যানের জন্য পৃথিবীর বুকে নেমে আসেন গঙ্গা। আবার পুরাণে একথাও বলা আছে যে কলিযুগে ফের স্বর্গে ফিরে যাবেন তিনি।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে রাজা ভগীরথ গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। এই কারণে গঙ্গার আর এক নাম ভাগিরথী। দেবী ভাগবত পুরাণে শ্রীবিষ্ণু নারদ মুনিকে বলেছেন যে কলিযুগের ৫০০০ বছরে স্বর্গে ফিরে যাবে গঙ্গা। কলিযুগে যখন অন্যায় ও পাপের মাত্রা গোটা পৃথিবীকে ছেয়ে ফেলবে, ধর্ম যখন প্রায় হারিয়ে যাবে, তখন মানুষের মন পাপ ও লোভে পূর্ণ হবে, সেই সময় গঙ্গায় স্নান করেও আরও পূণ্যলাভ হবে না। সেই পরিস্থিতে রুষ্ট গঙ্গা দেবী পৃথিবী ছেড়ে স্বর্গে ফিরে যাবেন।
গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গার উৎপত্তি। গঙ্গার সূচনা যে স্থান থেকে তা পরিচিত গোমুখ নামে। বর্তমানে বরফ গলে ক্রমাগত কমে যাচ্ছে এই হিমবাহ। বিজ্ঞানীরাও জানাচ্ছেন, এই ভাবে হিমবাহ গলে যেতে থাকলে ভবিষ্যতে একসময় শুকিয়ে যাবে গঙ্গা নদী।