ভ্রমণের দিনগুলির কথা মনে পড়তেই মনভার। কারণ, চাইলেই তো আর ছুটে যাওয়া যাবে না হিমালয়ের বুকে বা সাগর সৈকতে! আবার দীর্ঘ অপেক্ষা।

দূরে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবলে মন যেমন ফুরফুরে হয়ে ওঠে, অনেকের ক্ষেত্রে ফেরার পর বিষয়টি হয় উল্টো। এক দিকে বেড়ানোর সুখস্মৃতি, অন্য দিকে, দৈনন্দিন জীবনে ফেরার ক্লান্তি মনে টানাপড়েন তৈরি করে। এমন সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। এর পোশাকি নাম ‘পোস্ট ভেকেশন ব্লুজ়’।

বেড়ানোর পর এমনই মনখারাপ জাঁকিয়ে বসেছে। কী ভাবে আবার ছন্দে ফিরবে জীবন?

যেটা শিখলেন, অভ্যাস করুন: ভিন্‌রাজ্যে বা অন্য দেশে বেড়াতে গিয়ে আমরা সেখানকার ভাষা, মানুষ, সংস্কৃতি, খাবারের সঙ্গে পরিচিত হই। অনেক সময় স্থানীয় ভাষার এক, দু’লাইন শিখেও আসি। মনখারাপের সময় সেই ভাষা নিয়ে চর্চা করতে পারেন। সেই ভাষার সিনেমা দেখতে বা গান শুনতে পারেন। আবার বেড়াতে গিয়ে যে পদটি মন ছুঁয়েছে, সেটি রান্নার চেষ্টা করলেও মন কিন্তু ভাল হয়ে যেতে পারে।

স্মৃতির পাতা

স্মৃতি কিন্তু সুখেরও। বেড়াতে গিয়ে পাওয়া টিকিট, বই, কিনে আনা জিনিসপত্র সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। আবার ৫ বছর পরে সেই জায়গায় বেড়াতে গেলে সেই সংগ্রহ দেখে ঝালিয়ে নিতে পারবেন অতীত। মাঝেমধ্যে সংগ্রহ করা জিনিস হাতে নিয়ে দেখলেও ফেরা যাবে সেই মুহূর্তগুলিতে।

পরবর্তী ভ্রমণের পরিকল্পনা

মনখারাপের সময় নতুন ভাবনা উৎসাহ জোগাতে পারে। ফেলে আসা দিনের কথা ভেবে মনখারাপ হলে নতুন কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। হতে পারে তা আরও ছ’মাস বা ১০ মাস পরে। তবু নতুন কোনও স্থান নিয়ে কথা, আলোচনা, ভিডিয়ো দেখা মনকে আনন্দ দেবে।

ভ্রমণ-ভাবনা ভাগ করে নিন

বেড়ানোর ছবি, গল্প, তথ্য, সমস্যার কথা সমাজমাধ্যমে ভ্রমণ সংক্রান্ত গ্রুপে তুলে ধরতে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। এতে বেড়ানো নিয়ে চর্চা হবে, মনখারাপ কিছুটা হলেও কেটে যাবে।

সমাজের জন্য কাজ

বহু জায়গায় বেড়াতে গেলে স্থানীয় মানুষ, প্রকৃতির প্রতি আত্মিক টান তৈরি হয়। সেই জায়গা বা সমাজের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করা যায় কি না ভেবে দেখতে পারেন। কাজের সূত্রেও কিন্তু সেখানে ফেরা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here