আর ঠিক পাঁচদিন, তারপরেই মাঠের সম্মুখ সমরে নামবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। উত্তেজনায় সমর্থকরা যখন ফুটছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বিরাট ঘোষণা করল লাল-হলুদ বাহিনী। ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছে তাদের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন আনোয়ার আলি। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন ইমামি কর্তা বিভাস বর্ধন। এর আগে আনোয়ার মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। সেই চুক্তি ভেঙ্গে তিনি ইস্টবেঙ্গলে এলেন।
আনোয়ার আলির লাল-হলুদে যোগদান প্রসঙ্গে ইমামি কর্তা বিভাস বর্ধন বলেন, “আনোয়ার আলি নিঃসন্দেহে সারা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। আমরা বহুদিন ধরে তাঁকে দলে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। যে মুহূর্তে সেই সুযোগ এসেছে আমরা তার সদ্বব্যবহার করেছি।”
ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও অত্যন্ত আনন্দিত আনোয়ারকে দলে পেয়ে। তাঁর কথায়, “আনোয়ার একজন জাতীয় স্তরের ফুটবলার। ওঁর উচ্চ স্তরে খেলার অভিজ্ঞতা আগামীতে আমাদের দুরন্ত টিমের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে। নতুন কোনও প্রোজেক্টে আসার আগে প্রতিটি খেলোয়ারেরই উচিৎ তাঁর কোচের উপর বিশ্বাস রাখা। আমি সত্যি খুব খুশি যে আমাদের ভারতীয় ফুটবলের এই তরুণ প্লেয়াররা সেই বিশ্বাস রেখেছেন। তাই ইমামি ইস্টবেঙ্গলও তাঁদের কেরিয়ারকে আরও সুদৃঢ় করে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে।“
ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম সেরা রত্ন আনোয়ার। ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রথম আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ২০২৩’এ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন আনোয়ার।
ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে আপ্লুত আনোয়ার আলি। তাঁর কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে খুশি। আনোয়ারের কথায়, “লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাতে পেরে আমি একইসঙ্গে সম্মানিত ও উত্তেজিত। যে আতিথেয়তা আমি কলকাতা বিমানবন্দরে পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সমর্থক, ভক্তদের ভালবাসায় আমি আপ্লুত। আমার জীবনের সেরা বছরগুলি এবার উপহার দিতে চাই এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ও তাঁর সমর্থকদের।” সকল বক্তব্যের শেষে তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’।