মাঘ মাসকে দেবী লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, যে বাড়িতে সবুজ তুলসী গাছ থাকে, সেখানে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি থাকে।

মাঘ মাসে তুলসী পুজোর গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এই সময়ে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। মাঘ মাসে গঙ্গা নদীতে স্নান, দান এবং উপবাসের ঐতিহ্যও বিশেষ। মাঘ মাসে তুলসীকে কিছু জিনিস নিবেদন করা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মাঘ মাসে, ভুল করেও তুলসী গাছে দুধ বা দুধ মিশ্রিত জল নিবেদন করা উচিত নয়। এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এটি তুলসী গাছকে নষ্ট করতে পারে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও, দুধ গাছের শিকড়কে দুর্বল করে।

মাঘ মাসে তুলসীকে আখের রস নিবেদন করাও নিষিদ্ধ। এতে গাছটি শুকিয়ে যেতে পারে এবং বাড়ির সমৃদ্ধির উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আখের রস আঠালো, যা মাটির উর্বরতার উপর প্রভাব ফেলে এবং গাছ পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না।

লবণ: ভুল করেও তুলসী গাছে লবণ বা কোনও লবণাক্ত পদার্থ দেওয়া উচিত নয়। ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে যে এটি জীবনের উপর অশুভ প্রভাব ফেলতে পারে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, লবণ মাটির উর্বরতা হ্রাস করে, যার কারণে উদ্ভিদ দুর্বল হয়ে পড়ে।

তুলসী গাছের শুকনো বা ছেঁড়া পাতা এবং তুলসী তলায় শুকনো ফুল ব্যবহার করবেন না। এতে ঘরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, তুলসী পুজোর সময় সর্বদা তাজা ফুল ব্যবহার করা উচিত।

সন্ধ্যার পর তুলসী গাছে জল দেওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী মা রাতে বিশ্রাম নেন। সকালে বা বিকেলে তুলসীকে জল অর্পণ করা বেশি শুভ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here