বর্তমান সময়ে অফিসে নাইট শিফট খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। এই অভ্যাস ভাবী বাবা-মায়েদের ক্ষেত্রে কতটা সাংঘাতিক হয়ে উঠতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বর্তমানে বাবা মা হওয়া সত্যিই যেন খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন এর নেপথ্য থাকতে পারে রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস।
আসলে রাত জেগে কাজ করার অভ্যাসে শরীরের নিজস্ব যে ছন্দ তা নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলির উপর। তার মধ্যে প্রজনন অন্যতম। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে দেখা দিতে পারে। কারণ, শারীরবৃত্তীয় এই প্রক্রিয়াগুলির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা অন্য রকম। প্রজননের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ঘুম কম হলে হরমোনের হেরফেরে আবার শুক্রাণুর সংখ্যা এবং মান, দুই-ই নষ্ট হতে পারে।
রাত জেগে কাজ করলে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) দীর্ঘ দিন ধরে ‘নাইট শিফ্ট’ করার অভ্যাসে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়ে পড়ে। যা গর্ভধারণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২) ‘সার্কাডিয়ান সাইকেল’ বা শরীরের নিজস্ব ছন্দ নষ্ট হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে থাকে। ফলে ডিম্বাশয়ে সংরক্ষিত ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যেতে পারে।
৩) হরমোনের হেরফেরে প্রাথমিক ভাবে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়ে পড়ে। সঠিক চিকিৎসা না হলে তা বন্ধ্যত্বের দিকে মোড় নেয়।
৪) অল্পবয়সিদের মধ্যে ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রম’ বা ‘পিসিওএস’-এর সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক চিকিৎসা না হলে সেখান থেকেও বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে।