বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের আদালত তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশের একাংশ। চলছে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ। ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে?

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় জন্ম চিন্ময়কৃষ্ণের। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চিন্ময়কৃষ্ণ ছিলেন ইসকনের চট্টগ্রাম ডিভিশনের সেক্রেটারি। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তার পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে চট্টগ্রাম এবং রংপুরে। চট্টগ্রামে শুক্রবারও নতুন করে তিনটি মন্দিরে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত করার দাবিতে গড়ে ওঠা মঞ্চ ‘সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’-এর মুখপাত্র হয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবিতে কথা বলতেন তিনি। তাঁদের উপরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন। অক্টোবরে চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের নিয়ে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন চিন্ময়। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চট্টগ্রামের সমাবেশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে একটি গেরুয়া পতাকা তুলেছিলেন তিনি। তাতে জাতীয় পতাকার ‘অপমান’ হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরেই চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চট্টগ্রামের বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মহম্মদ ফিরোজ় খান। তিনি জানান, বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা করেছেন চিন্ময়। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি করে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগও আনা হয়।

এর পরেও অবশ্য চট্টগ্রাম এবং রঙপুরে একাধিক মিছিল, সভা ডেকেছেন চিন্ময়কৃষ্ণ। ২২ নভেম্বর রংপুরে তাঁর একটি সভায় বিপুল জমায়েতও হয়েছিল। ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন তিনি। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। চিন্ময়কৃষ্ণকে সঠিক এবং নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ভারত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here