চিন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। এটা নিয়ে যত কম বলা হয়, ততই কম। এই বিস্ময়কর দেশ সম্পর্কে বলা হয় যে এখানে টেবিল-চেয়ার ছাড়া প্রতিটি চার পায়ের জিনিস ভক্ষণ করা হয়। চিন বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে বিভিন্ন ধরণের প্রাণীর মাংস সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। সব দিক দিয়েই এই দেশ অত্যন্ত অদ্ভুত। বিশ্বের অর্ধেক শূকর চিনে পাওয়া যায়। এই দেশে ইংরেজি ভাষাভাষীর সংখ্যা আমেরিকার থেকে বেশি। আজ আমরা আপনাকে চিন সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলতে যাচ্ছি, যা শুনলে চমকে উঠবেন।
চিনের ধনী ব্যক্তিরা তাদের পরিবর্তে অন্য কাউকে জেলে পাঠাতে পারে।
২০০৯ সাল থেকে চিনে ফেসবুক এবং টুইটার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘ভূতের শহর’ রয়েছে চিনে। চিনে ৬০ মিলিয়নেরও বেশি বাড়ি খালি পড়ে রয়েছে।
চিনে এমন একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে যেখানে লোনে গার্লফ্রেন্ড পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহের রেট প্রায় ২০০০ টাকা।
আপনি যদি ‘হট এয়ার বেলুন’ করে পৃথিবী দেখতে যান, তবে চিনের ‘ইয়াংশু শহর’ সবচেয়ে সুন্দর দেখাবে।
চিনের ডংইয়াং শহরের মানুষ বাচ্চাদের মূত্রের মধ্যে ডিম সেদ্ধ করে খায়, এগুলিকে ভার্জিন এগ বলে।
আপনি যদি চিনে থাকেন তবে আপনি IKEA স্টোরে সজ্জিত বিছানায় আরাম করতে পারেন। IKEA হল বিশ্বের বৃহত্তম আসবাবপত্রের দোকান।
২০১০ সালে, বিশ্বের দীর্ঘতম ‘ট্রাফিক জ্যাম’ হয়েছিল চিনের সাংহাই শহরে, যা প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। প্রায় ১২ দিন ধরে চলেছিল এই জ্যাম।
চিনে আত্মহত্যার ঘটনা এত বেশি যে সেখানে ‘বডি ফিশার’-এর চাকরিও পাওয়া যায়। নদী থেকে ‘মৃতদেহ’ তুলে ফেলাই এসব মানুষের কাজ।
চিনে পাখির বাসা থেকে তৈরি স্যুপের চাহিদা বেশি। একে ‘Edible Bird’s Nest’ বা ‘Bard’s Nest Soup’ও বলা হয়। প্রতি কেজি প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দরে বিক্রি হয় এই স্যুপ।
পৃথিবীর যে কোনও কোণে জায়েন্ট পান্ডা দেখলে বুঝবেন এটা চিনের অধিকার। চিন এই প্রজাতিটি লিজে নিয়েছে। তাদের সন্তানরাও চিনের অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে।
চিনে ‘ব্রেন ড্রেন’ এর একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, ১০ জন চিনা শিক্ষার্থীর মধ্যে যারা অন্যান্য দেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল, ৭ জন আর কখনও ফিরে আসেনি। মজার ব্যাপার হল, তাদের বেশিরভাগই আমেরিকায় থাকতে পছন্দ করে।
‘সেভেন ইয়ারস ইন তিব্বত’ ছবিতে কাজ করায় হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিট কখনওই আর চিনে যেতে পারবেন না। এই ছবির দ্বিতীয় নায়ক ডেভিড থিউলিস এবং ছবির পরিচালক জিন-জ্যাক আনাডকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চিনে এক ব্যক্তি স্ত্রীকে কুৎসিত বলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং তিনি মামলায় জিতে যান। স্বামীর দাবি, স্ত্রীর কদর্যতার কারণে তার সন্তানরাও কুৎসিত হয়েছে।