ডিসেম্বর শেষ হলেই নতুন বছরে পা রাখব আমরা। নতুন বছরকে সুন্দর, সমৃদ্ধ ও সুখী করে তুলতে বাস্তু শাস্ত্র ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। শাস্ত্র মতে নববর্ষ আসার আগেই বাড়িতে কিছু জিনিস নিয়ে আসুন। যার প্রভাবে নতুন বছরে সুফল লাভ করবেন।

নতুন বছরের আগমনের আগে বাড়িতে গাছ লাগান। বাড়িতে তুলসী গাছ না-থাকলে, তা এনে লাগাতে পারেন। তুলসী পরিবারে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বিস্তার করবে। পাশাপাশি ওই পরিবারে বসবাসকারী সদস্যরা বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করবেন।

ময়ূরপুচ্ছ কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। যে বাড়িতে ময়ূরপুচ্ছ থাকে সেখানে কৃষ্ণও বাস করেন। পাশাপাশি সেই পরিবারে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে। নতুন বছরে পরিবারের আনন্দ দ্বিগুণ করার জন্য বাড়িতে ময়ূরপঙ্খ এনে রাখুন। তবে ১-৩টি ময়ূরপঙ্খ এনে রাখবেন শুধু।

নববর্ষের আগে শুকনো নারকেলকে মুড়ে লকারে রেখে দিন। বাড়িতে এই নারকেল রাখলে ধন-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি ঘটে।

পরিবারে মুক্তো শঙ্খ রাখলে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এর ফলে কখনও অর্থাভাব দেখা দেয় না। তাই নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য মুক্তো শঙ্খ কিনে আনুন। এই শঙ্খের পুজো করার পর টাকা রাখার লকারে রেখে দিন।

বাস্তু শাস্ত্রে কচ্ছপকে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। ২০২৩-এর আগেই পিতল, কাসা বা রুপো কচ্ছপ এনে বাড়িতে রাখুন। এর প্রভাবে জীবনে উন্নতি লাভ করবেন।

বাস্তু শাস্ত্র বলছে বাড়িতে ধাতুর তৈরি হাতির মূর্তি রাখা অত্যন্ত শুভ। এর প্রভাবে পরিবারে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। তাই ডিসেম্বরের শেষ দিকে রুপোর তৈরি হাতির মূর্তি বাড়িতে এনে রাখুন। হাতি রাখলে বাড়িতে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

নতুন বছরে লাফিং বুদ্ধা কেনা সবচেয়ে শুভ ফলদায়ী প্রমাণিত হতে পারে। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here