বিয়ের অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় হল বিয়ের কার্ড। কার্ডকে ত্রুটিহীন করতে জেনে নিন কয়েকটি বাস্তু টিপস। বাস্তু অনুসারে এই নিয়মগুলি মেনে বিয়ের কার্ড তৈরি করলে হবু দম্পতির জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে থাকবে।
চিরাচরিত আয়তাকার বা বর্গাকার ওয়েডিং কার্ডই মঙ্গলজনক বলে জানাচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
বিয়ের কার্ডে পাত্র-পাত্রীর ছবি দেওয়া বাস্তুমতে অশুভ। অনেক সময় বিয়ে মিটে যাওয়ার পর সেই কার্ড এখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া কার্ড থেকে ছবি নিয়ে কেউ খারাপ কাজ করতেই পারে।
বিয়ের কার্ডে কালো এবং ধূসর রঙ ব্যবহার করা উচিত নয়। এই দুটি রঙ-ই বিয়ের ক্ষেত্রে অশুভ বলে বিবেচিত। এর ফলে বিবাহিত জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
বিয়ের কার্ডে গণেশের ছবি ব্যবহার করেন ওনেকে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, গণেশ যেন নৃত্যরত গণপতি না হন।
বিয়ের কার্ডে পারফিউমড কাগজ ব্যবহার করতে পারেন। চন্দন, গোলাপ, জুঁইফুলের সুগন্ধ অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে দেয়।
বিয়ের কার্ডে লাল বা মেরুন রঙ ব্যবহার করতে পারেন। এই দুটি রঙ বিয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শুভ।
বিয়ের কার্ডে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখবেন না। রাধা-কৃষ্ণ প্রেমের প্রতীক হলেও এঁদের জীবন যন্ত্রণা ও বিরহে ভরা।
বিয়ের কার্ডে অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন রাখবেন। হিন্দু ধর্মমতে এই চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কোনও শুভ কাজের শুরুতে স্বস্তিক চিহ্ন অমঙ্গলকে দূর করে।