সংখ্যালঘু আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। সে দেশের ইস্কনের অন্যতম কর্তা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। বাংলাদেশের অশান্তির আঁচ পড়েছে ভারতেও। হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। বেশ কিছু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিউজ মিডিয়া, সমাজ মাধ্যমের দৌলতে সেসব খবর ভারতেও পৌঁছাচ্ছিল, উঠছিল প্রতিবাদ। ক্রোধের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারি। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের বর্তমান অবস্থা, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ নাক গলানো উচিত হয়নি ভারতের, বিতর্কের মাঝেই এমন দাবি করলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম।
সিএনএন-নিউজ ১৮-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন। কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে না। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি শফিকুল আস্বস্ত করেছেন যে বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হবে না। তাঁর অনুরোধ, “বিদেশের সাংবাদিকরা বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে যান। এটা সত্যি যে, বাংলাদেশের কিছু অংশে কয়েক দিন ধরে অশান্তি চলেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে।’’
বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত যে বিবৃতি দিয়েছে তা দেওয়া উচিত হয়নি, মনে করছেন শফিকুল। তাঁর কথায়, ‘‘এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারের এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া উচিত হয়নি। ভারতে কোথায় কী হচ্ছে, আমরা তা নিয়ে কখনও কথা বলতে যাই না।’’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম, রংপুরের মতো এলাকায় সংখ্যালঘুরা চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন। বিক্ষোভ, সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন প্রান্তে।