বাঁধা উপেক্ষা করে কোনও কাজ করতে মানুষ চিরকালই বেশি উৎসুক। তাই তো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে মানুষ বেশি পছন্দ বোধ করেন। স্ত্রী বা স্বামী থাকা সত্বেও এক ঘেয়েমি কাটাতে বা দাম্পত্য জীবনে অসুখী হওয়ার জন্য অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মানুষ। আগে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ককে ‘ফৌজদারি অপরাধ’ বলে গণ্য করা হত। তবে সম্প্রতি, সেপ্টেম্বর ২০১৮-এ সুপ্রিম কোর্ট পরকীয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ওই আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দেয়া হয়। আর তারপরেই যেন দেশ জুড়ে পরকীয়ার সম্পর্কের জোয়ার আসে। এই বাঁধ ভাঙা জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে বেঙ্গালুরু। এই শহরের প্রায় অধিকাংশ মানুষ পরকীয়ায় জড়িত, সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী বেঙ্গালুরুর প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ সক্রিয়ভাবে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত। শুধু তাই নয়, ফ্রান্সের একটি ডেটিং কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম ‘গ্লিডেন’ও পরকীয়া সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে।’গ্লিডেন’ তার সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করেছে, এই মুহূর্তে ভারতে তাদের সক্রিয় ইউজার সংখ্যা ৫ লক্ষেরও বেশি। এই মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ইউজারই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। যার মধ্যে রয়েছেন, ৪৩ হাজার মহিলা ও ৯১ হাজার ৮০০ জন পুরুষ। বিশেষজ্ঞদের মত, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই পরকীয়ায় আশক্ত।
সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যাটা ভারতের যে কোনো শহরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যা রীতিমত উদ্বেগের। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু হল ভারতের আইটি শহর। এ শহরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ কাজ করতে আসেন, বছরের পর বছর থাকেন। এদের মধ্যে অনেকেই নিজের পরিবারের থেকে দূরে, অচেনা শহরে একা থাকেন। ফলে এই একাকিত্ব কাটাতে নতুন কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কগুলিই যে পরকীয়া বা তাঁদের মধ্যে যে শারীরিক সম্পর্ক ঘটবে এমনটা নাও হতে পারে।