ইউরিক অ্যাসিডের সমস‌্যা আজকাল কার দিনে বহু মানুষেরই হয়ে থাকে। বিশেষ করে এটি এমনই এক রোগ যা যেকোনও বয়সের মানুষেরই দেখা যায়। যার জেরে হাতে-পায়ে প্রবল ব‌্যথা শুরু হয়ে যায়। যন্ত্রণার মাত্রা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যা ওষুধেই ভরসা করতে হয়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়া মানেই বহু খাবার নিষিদ্ধ থাকে। সেই তালিকায় রয়েছে টম্যাটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডালও।

কিন্তু তাতেও কি লাভ হচ্ছে? চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন গেলেই ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে থাকে, কিন্তু সেটির পরিমাণ যখন প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন তা অস্থিসন্ধির উপর জমতে শুরু করে তা ক্রিস্টালে পরিণত হয়। আর সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। কিডনিতে পাথর হওয়ার নেপথ্যেও ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা রয়েছে।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত প্রোটিন খাওয়া এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা— মূলত এই দু’টি বিষয় মাথায় রাখলেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর প্রতিদিন এই ফল খেয়ে নিয়ন্ত্রণে থাকে এই ইউরিক আ‌্যাসিড। তা হল কলা।

কলায় কী এমন রয়েছে?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাকা কলায় ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। আর এই উপাদানটি ইউরিক অ্যাসিডের যম। দিনে দু’-তিনটি কলা খেতে পারেন। সকালে জলখাবার খাওয়ার পরে কলা খেয়ে নিতে পারেন। অথবা স্মুদি হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here