মহিলা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ডায়েটের ক্ষেত্রে বেশ পার্থক্য থাকে। এক পর্যায়ে এক মহিলার যে যে ভিটামিন বা প্রোটিনগুলি প্রয়োজন, একজন পুরুষেরা তা নাও হতে পারে। মহিলারা অনেক সময়ে পরিবারের সকলের দিকে নজর রাখতে গিয়ে নিজেদের দিকেই আলোকপাত করেন না। নিজের শরীর কী পুষ্টিগুণ চায়, তা আদেও পাচ্ছে কি তা ঠাওর করতে পারেন না। এক্ষেত্রে একজন মহিলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ থাকতে চাইলে রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে এমন কিছু খাবার, যাতে সেই অভাব পূরণ হয়ে যায়। জেনে নিন কোন খাবারগুলি রাখবেন প্রাত্যহিক খাবারে-
শাক-সব্জি: নানা রকমের শাক ও সবুজ সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন কমে যায় আমাদের শরীরে। তাই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রত্যেক দিন নানা রকম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে যদি খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন।
ডিম: ডিমে শুধু প্রোটিনই নয়, কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি’ও পাবেন। যা সাধারণত মেয়েদের শরীরে এমনিতেই কম থাকে। সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এমনিতে দিনে একটা করে ডিম এখন পুষ্টিবিদরা খেতে বলেন। তবে কারও যদি কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তা হলে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন অথবা সপ্তাহে তিন দিন খেতে পারেন।
দই: দইয়ে প্রচুর ‘গুড ব্যাক্টেরিয়া’ থাকে। তাই হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য দারুণ খাবার। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দইয়ের বিকল্প নেই। গ্রিক ইয়োগার্ট খেলে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন আর ক্যালশিয়াম পাবেন। তবে বাড়িতে পাতা দই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এক্ষেত্রে মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দই-ই বেশু উপকারী।
ওট্স: গ্লুটেন যদি আপনার সহ্য না হয়, তা হলে ওট্স আপনার ভাল বন্ধু হয়ে উঠবে। চটজলদি স্বাস্থ্যকর জলখাবারের জন্য ওট্সের মতো ভাল জিনিস হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ওট্স। ওট্স গুঁড়ো করে তা দিয়ে রুটি, কেক, প্যানকেক— সব রকমই বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারেও চলতে পারে ওট্সের খিচুড়ি। বিশেষ করে আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন।
নানা রকম বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদামে থাকে ‘গুড ফ্যাট’ এবং প্রোটিন। কিছু বাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখলে সকালে ঘুম থেকে উঠে জলখাবারের আগে খেয়ে নিন। অনেক বেশি উপকার পাবেন। এবং সকালের ব্যস্ততায় চটজলদি খাওয়াও হয়ে যাবে। আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট, কাজু বাদাম, চিনেবাদাম— সবই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন।