এই বিশেষ মাসে, স্নান ও দান এর পাশাপাশি উপবাস ও তপস্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে, মাঘ মাসে ভগবান হরি, দেবী লক্ষ্মী এবং তুলসী মার পুজো করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। ১৪ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ থেকে মাঘ মাস শুরু হচ্ছে।
মাঘ মাসে ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। মাঘ মাসে বিশেষ কিছু জিনিস দান করা উচিত। মাঘ মাসে পুজোর সময় গীতা পাঠ করা উচিত।
মাঘ মাসের শুভ তিথিতে পবিত্র নদীতে স্নান করা উচিত। মাঘ মাসে প্রতিদিন তুলসী মার পুজো করা উচিত।
মাঘ মাসে কী কী করা উচিত নয়: মাঘ মাসে তামসিক জিনিস খাওয়া নিষিদ্ধ। মাঘ মাসে কারও সঙ্গে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। মাঘ মাসে কাউকে অপমান করা উচিত নয়।
মাঘ মাসে ঘর ও মন্দিরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। মাঘ মাসে, ব্যক্তির বাড়িতে এবং পরিবারে কোনও ধরণের বিতর্ক করা উচিত নয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মাঘ মাসের নিয়ম না মেনে চলার ফলে একজন ব্যক্তিকে তার জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, মাঘ মাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নিয়মগুলি মেনে চলা আরও গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ধর্মে মাঘ মাসকে অত্যন্ত পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মাসে কেবল স্নান ও দানই নয়, উপবাস ও তপস্যাও করা উচিত। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, মাঘ মাসে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করা হয়। এতে করে ব্যক্তির ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করে। এছাড়াও, মাঘ মাসে তুলসী মার উপাসনা করলে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
মাঘ মাসে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়: মাঘ মাসকে সূর্যদেব এবং ভগবান বিষ্ণুর উপাসনার মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মাসে সূর্যদেব এবং ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। মাঘ মাসে করা কাজের শুভ ফল ব্যক্তি লাভ করেন। মাঘ মাসে প্রতিদিন গীতা পাঠ করলে অধিক ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। শুধু তাই নয়, মাঘ মাসে পবিত্র নদীতে স্নান করাও বিশেষভাবে ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, মাঘ মাস শুরু হয় মকর সংক্রান্তির দিন থেকে। এই বছরও মাঘ মাস ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু যা ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।