বর্তমান সময় অনলাইন ছাড়া সব কিছুই প্রায় অসম্ভব। ছোট থেকে বড় সব পেমেন্টই সবটাই এভাবে হয়ে থাকে। তবে অনেকেই নগদে লেনদেন করতে পছন্দ করেন। তাঁরা ভাবেন, এতে ইনকাম ট্যাক্সের নজর থেকে বাঁচা যাবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সমস্ত ব্যাঙ্কিং লেনদেনই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

কিছু লেনদেনের উপর ইনকাম ট্যাক্সের কড়া নজর থাকে। আপনি বুঝতেও পারবেন না, তার ফাঁকেই বাড়িতে আয়করের নোটিস চলে আসবে। তাই এক অর্থবর্ষে এই ৬ ধরণের লেনদেন করতে বারণ করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।

মোটা অঙ্কের নগদ জমা: এক অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদে জমা করলে আয়কর বিভাগ নোটিস পাঠাতে পারে। সেটা একটি অ্যাকাউন্টে হতে পারে কিংবা একাধিক অ্যাকাউন্টে। এই ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে টাকার উৎস সম্পর্কে জানাতে হবে। এমনটাই নিয়ম সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেসের।

মোটা অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট: একসঙ্গে মোটা অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট করলেও আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফিক্সড ডিপোজিটে জমা টাকার উৎস জানতে চাইতে পারে আয়কর দফতর। সঠিক জবাব দিতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

দামি সম্পত্তি কেনাকাটা: যদি কেউ এক অর্থবর্ষে বাড়ি বা রিয়েল এস্টেটে ৩০ লাখ টাকার বেশি কেনাকাটা করেন, তাহলে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর বিভাগ। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি বার্ষিক কর পরিশোধ করেছেন কি না তাও দেখা হতে পারে।

বিনিয়োগ থেকে উচ্চ রিটার্ন: ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি এমন কোথাও বিনিয়োগ করলেন যেখান থেকে অত্যধিক হারে রিটার্ন পেলেন। কিন্তু এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ আয়কর বিভাগ নোটিস পাঠাতে পারে। বিনিয়োগের পিছনে যথাযথ কারণ দেখাতে হবে, নাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিলাসবহুল পণ্য এবং পরিষেবা ক্রয়: বিলাসবহুল পণ্য বা দামি পরিষেবার জন্য যদি কেউ মোটা টাকা খরচ করেন, তাহলেও আয়কর বিভাগ নোটিস পাঠাতে পারে। খরচ যদি ঘোষিত আয়ের থেকে বেশি বা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

অস্বাভাবিক ব্যাঙ্ক লেনদেন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন, যেমন বারবার টাকা তোলা বা জমা করা যা আয়ের সঙ্গে মেলে না, এমনটা হলে সাবধান। লেনদেনের ধরণ সন্দেহজনক মনে হলে আয়কর বিভাগ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট তদন্ত করে দেখতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here