সারাবছর ধরে বাড়ির কেউ না কেউ কোনও না কোনও অসুখে পড়ছেন, বহু ডাক্তার দেখিয়েও রোগ ব্যাহির যেন শেষ নেই। সারাক্ষণ কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ। জানেন কি বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলেও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই সবার আগে বাড়ি থেকে বাস্তুদোষ দূর করা প্রয়োজন।
পরিবারের মধ্যে একের পর এক ক্যান্সার, ব্রেন স্ট্রোক বা অন্য কোনও গুরুতর রোগে ভুগতে থাকেন, তাহলে শুধু লাইফস্টাইলে নয়, ঘরের কোনও ভুল প্রান্তে বা বাথরুমের ভুল দিক রয়েছে কিনা তাও দেখা উচিত। বাস্তুবিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও বাড়ির একটি কোণে কখনও প্রসারিত হয়, আবার কোনঠাসা হয়ে থাকে। বাড়ির কিছু অংশ উঁচু ও কিছু অংশ নিচু থাকে। এই কারণে, বাড়িতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তির মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তার জের সরাসরি প্রভাব বাড়ির সদস্যদের উপরেই পড়ে।
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাথরুম তৈরি হলে, সেখানে স্যাঁতসেঁতে ভাব বজায় থাকে। যদি এমনটা আপনার বাড়িতে হয় তাহলে রোগ ব্যাধি আসবেই। ভাগ্যকে দুষে লাভ নেই।
রোগের শিকার হওয়া থেকে যদি কোনও বিরতি না পড়ে তাহলে বুঝবেন পিতৃদোষের কবলে পড়েছেন। পিতৃদোষ দূর করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ঘটি জলে কিছু চিনি বা অন্য মিষ্টি মিশিয়ে পিপল গাছের গোড়ায় রাখুন। পিপল গাছে সমস্ত পিতৃপুরুষের বসবাসের কারণে পূর্বপুরুষরা অসন্তুষ্ট হলে তা দূর হয়ে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কোনও বাড়ির দেওয়ালে নীল রঙ করা হলে সেই বাড়ির সদস্যদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দেওয়ালে লাল বা অন্য কোনও রঙের পেন্ট করলে তা শুভ বলে মনে করা হয়।
বাড়ির তরুণদের নীল বা কালো রঙের পোশাক পরা উচিত নয়। পার্টিতে নীল-কালো রঙের পোশাক পরা যেতে পারে, তবে সাধারণ দিনে এই রঙের পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।