জ্যোতিষশাস্ত্র মতে হিরে গ্রহগত দিক থেকে নানা উপকারে আসে। মহিলাদের গলায়, আঙুলে, নাকে, কানে হিরে ধারণ করা শুভ বলে মানা হয়। হিরে ধারণ করলে সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে সৌভাগ্যও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু হিরে ধারণ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। না হলে উপকারের বদলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

১) বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা হিরে ধারণ করতে পারেন। এই সকল রাশির ব্যক্তি হিরে ধারণ করে জীবনে প্রচুর উন্নতি করতে পারবেন।

২) মীন, কর্কট এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের কখনও হিরে ধারণ করা উচিৎ নয়। রাশির বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও রত্ন এবং ধাতু পরা উচিৎ নয়। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জ্যোতিষীর পরামর্শ নিতে হবে।

৩) হিরে কেনার সময় অবশ্যই তার স্বচ্ছতা, রং, কাটিং এবং ক্যারেট পরখ করে নিতে হবে।

৪) সোনা এবং প্ল্যাটিনাম ধাতুর সঙ্গে হিরে পরা শুভ। এই ক্ষেত্রেও ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে তবেই হিরের জন্য ধাতু বেছে নিন।

৫) নতুন হিরে এনে সারা রাত নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর সেটি ধারণ করুন।

৬) হিরে ধারণ করার আগে অবশ্যই কাঁচা দুধ এবং গঙ্গাজলে ভিজিয়ে রাখুন। এর পর সেটি মা লক্ষ্মীর চরণে ছুঁইয়ে শোধন করে তবেই ধারণ করুন।

৭) হিরে সব সময় সূর্যাস্তের পর ধারণ করা উচিৎ। দিনের আলোয় হিরে ধারণ করবেন না।

৮) হিরে পরার সঠিক বয়স হল ২১ থেকে ৫০ বছর। যে কোনও বয়সে হিরে পরতে নেই।

৯) হিরে ধারণ করার পর শুক্র গ্রহের মন্ত্র জপ করলে জীবনে উন্নতি হয়।

হিরে ধারণের ফলাফল বা উপকারিতা:

হিরে ধারণ করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া হিরে সৌভাগ্যের দরজা খুলতে সাহায্য করে। হিরে প্রেমের সম্পর্কে মাধুর্য আনে। সঙ্গীত, চলচ্চিত্র এবং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হিরে ধারণ করতে পারেন। এর ফলে জাতক জীবনে উন্নতি করতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here