বাস্তুশাস্ত্রে দুই ধরনের শক্তির কথা বলা হয়েছে, ইতিবাচক শক্তি এবং নেতিবাচক শক্তি। ইতিবাচক শক্তির বাড়িতে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। পজিটিভ এনার্জির প্রভাবে পরিবারের সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করেন। ঘরে যেখানেই নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে, তখন জীবন কার্যত নরক হয়ে ওঠে। বাস্তুশাস্ত্রে অনেক সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করা যায়। তবে এর আগে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনার বাড়িতে সত্যিই নেতিবাচক শক্তি রয়েছে কি না।

কীভাবে নেতিবাচক শক্তি চিনবেন

বাড়ি এমন একটি জায়গা যেখানে একজন ক্লান্ত ব্যক্তিও শান্ত এবং স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে। মন বিচলিত হয় না এবং আনন্দের পরিবেশ থাকে। কিন্তু বাড়িতে আসার সাথে সাথে আপনার যদি মন খারাপ লাগে, অস্থির বোধ হয়, বাড়িতে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বারবার ঝগড়া হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব রয়েছে।

আপনি বাইরে ভাল আছেন কিন্তু যখন আপনি বাড়িতে আসেন আপনার শরীরে ভার হয়ে যায়, মন খারাপ লাগে, কাঁদতে ইচ্ছা করে- এমন হলে বুঝবেন এগুলি নেতিবাচক শক্তির লক্ষণ। এমন হলে লবণ দিয়ে ঘর মুছুন, বাথরুমে একটি পাত্রে ফটকিরি রাখুন এবং বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী ঘর সাজান ও রক্ষণাবেক্ষণ করুন।

আপনি যদি অনুভব করেন বাড়িতে কারও উপস্থিতি রয়েছে, অজানা কোনও ভয় গ্রাস করছে,  শরীরে ভারী হয়ে যাচ্ছে, তাহলে সেগুলোও নেতিবাচক শক্তির লক্ষণ হতে পারে। আসলে, নেতিবাচক শক্তির কারণে, একজন ব্যক্তি ক্লান্ত বা বিভ্রান্ত বোধ করেন।

নেতিবাচক শক্তি কী?

বাস্তু বিশেষজ্ঞ অনীশ ব্যাসের মতে, নেতিবাচক শক্তি ভূতের সাথে সম্পর্কিত নয়। আপনি যদি আপনার বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির লক্ষণ দেখতে পান তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনার বাড়িতে ভূত বসতি স্থাপন করেছে।

বাড়ির ভুল নকশা, জিনিসপত্র ভুল দিকে রাখা ইত্যাদির কারণে বাস্তুত্রুটি দেখা দেয়, যা নেতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনে। নেগেটিভ এনার্জি শনাক্ত করে দূর করতে পারলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here