যতই সতর্ক হন না কেন, পেট্রোল এবং ডিজেলের প্রতারণা এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। মিটারে দেখানো শূন্য সংখ্যা দেখে আমরা নিশ্চিন্ত হই। তবে তার পরও ঠকতে হয়!

বেশিরভাগ সময় পেট্রোল বা ডিজেল ভরার সময় আমরা অনেকেই মিটারের দিকে তাকিয়ে থাকি। যাচাই করে নিতে চাই, মিটারে সব সংখ্যা শূন্য রয়েছে কি না! তা হলে এটাই কি সঠিক পদ্ধতি! তার পরও কি ঠকতে হয় না!

আপনি হয়তো বেশিরভাগ সময়ই বলেন, ১০০, ২০০ বা ৫০০ টাকার পেট্রোল ভরে দিতে। পাম্পে থাকা কর্মী সেই হিসেবে পেট্রোল দেন। আর এখানেই আপনি বড় ভুল করে ফেলেন।

পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে পেট্রোল এবং ডিজেল ভরানোর সময় প্রতারণার শিকার হওয়া এড়ানো যেতে পারে। তবে তার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তার মধ্যে সবার আগে টাকার হিসেবে পেট্রোল ভরা বন্ধ করতে হবে।

বেশিরভাগ মানুষ পেট্রোল পাম্পে গিয়ে ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার রাউন্ড ফিগারে তেল ভর্তি করেন। অনেক সময় পেট্রোল পাম্প মালিকরা মেশিনে রাউন্ড ফিগার ঠিক করে রাখেন। সেক্ষত্রে গ্রাহকের প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কখনওই রাউন্ড ফিগারে পেট্রোল ভরবেন না। আপনি রাউন্ড ফিগার থেকে ১০ বা ২০ টাকা বেশি পেট্রোল নিতে পারেন। সব থেকে ভাল উপায়, আপনি লিটারের হিসেবে পেট্রোল বা ডিজেল গাড়িতে ভরান। আর হাতে খুচরো না থাকলে অনলাইন পে করে দিন।

সব পেট্রোল পাম্প নিশ্চয়ই এমনভাবে গ্রাহকদের ঠকায় না। তবে বহু জায়গায় বেশ কিছু পাম্প এমন ঠকবাজি ব্যবসা করে। অনেক সময় ধরাও পড়ে। ফলে আপনাকে ঠকতে হয়।

পেট্রোল সবসময় শুধুমাত্র ডিজিটাল মিটারযুক্ত পাম্পে ভরানো উচিত। কারণ, পুরনো পেট্রোল পাম্পের মেশিনগুলোও পুরনো। ফলে সেইসব মেশিনে কম পেট্রোল ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তেল ভরানোর সময় পেট্রোল পাম্প মেশিনের মিটার শূন্য সেট করা আছে কি না তা নিশ্চিত করুন।

অনেক মানুষই পেট্রোল বা ডিজেল ভরানোর সময় গাড়ি থেকে নামেন না। এর সুযোগ নেয় পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। পেট্রোল ভরানোর সময় গাড়ি থেকে নেমে মিটারের কাছে দাঁড়ান। মিটার রিডিং সব সময় 0.00 হওয়া উচিত। ভেন্ডিং মেশিন ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট চাইলে যাচাই করতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here